এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৩ জুলাই : চালকলের অনতিদূরেই বসবাস এক আদিবাসী কিশোরীর পরিবারের ৷ গরমের কারনে রাতে মা ও দিদির সঙ্গে বাড়ির খোলা বারান্দাতেই শুয়ে ছিল ওই কিশোরী । সেই সময় রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হানা দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল চালকলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভাতারের নর্জা গ্রামে । পরের দিন কিশোরী এনিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ওই দিন রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নেপাল হাজরা (৩৩)। তার বাড়ি মন্তেশ্বর থানার ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামে । শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয় । ধৃতের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
জানা গেছে, নর্জা গ্রামের কাছে বাদশাহী রোডের পাশে রয়েছে ওই চালকলটি । ওই চালকলেই কাজ করে নেপাল হাজরা । সে চালকলেই থাকতো । অন্যদিকে চালকল থেকে কিছুটা দুরে নর্জা মোড়ের কাছে আদিবাসীপাড়ায় বসবাস করে ওই কিশোরীর পরিবার । তার বাড়িতে রয়েছেন মা ও দিদি । ওই কিশোরী বিজিপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে । ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ।
কিশোরীর মা জানিয়েছেন, ওইদিন প্রচন্ড গরম ছিল । তাই রাতে দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি ঘরের খোলা বারান্দাতেই শুয়েছিলেন । রাত প্রায় দুটো নাগাদ ছোট মেয়ের আর্ত চিৎকারে তাঁর ঘুম ভেঙে যায় । তখন মেয়ের পাশেই তিনি নেপালকে দেখতে । সে গভীর রাতে চুপিসারে বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছোট মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ কিশোরীর মায়ের । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এরপর তিনজনে মিলে তাঁরা নেপালকে ধরে ফেলেন । তাকে অল্পবিস্তর মারধরও করা হয় । সেই সময় ওই যুবক হাত ফস্কে পালিয়ে যায় ।
শুক্রবার তিনি মেয়েকে সঙ্গে করে ভাতার থানায় নিয়ে এসে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর পরিবার পরিজন ও গ্রামবাসীরা ।।