এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের গনধর্ষণের পর নৃশংস বর্বরোচিত খুনের ঘটনা কেউই মেনে নিতে পারছে না । এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ । ইতিমধ্যে সিবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে । এই গনধর্ষণ-খুনে দ্বিতীয় বিতর্কিত চরিত্র হলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল ! কারন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ‘কাছের’ বলে পরিচিত এই দু’জনকে নিয়েই বিস্তর অভিযোগ তুলছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ মানুষ । আর এই দু’জনকেই গ্রেফতার করার দাবি তুললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
আজ ভোর ১২:১৯ নাগাদ বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় টুইট করে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন । তিনি লিখেছেন,’সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা আবশ্যক কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প হাওয়ায় ভাসিয়েছিল । কেন হলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হল, কারা রায়কে(ধৃত সঞ্জয় রায়) এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, কেন তিনদিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল ? তাদের সাথে এনিয়ে কথা বলুন ।’
এর আগে একই দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেছিলেন, বিনীত গোয়েলকে ধরলেই সব সত্য প্রকাশ্যে চলে আসবে । পাশাপাশি তিনি তরুনী চিকিৎসকের নগ্ন ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের দিন দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা আরজি কর হাসপাতালে বিনীত গোয়েলের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন । যদিও সিপি বিনীত গোয়েল একের পর এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছেন যে সবরকম স্বচ্ছতা মেনেই তদন্ত এগোচ্ছে। গত ৯ আগস্ট সাড়ে ১০টা নাগাদ টালা থানায় খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং হোমিসাইড পৌঁছোয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সাক্ষী এবং বাবা মায়ের উপস্থিতিতে ইনকুয়েস্ট করা হয়। তারপর ময়না তদন্ত করা হয়, ভিডিয়োগ্রাফি করা করা হয়েছে । সিবিআইয়ের কাছে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে । তাসত্ত্বেও তার উপর কেউ ভরসা রাখতে পারছেন না । এদিকে আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়া ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলনে লাগাম টানতে আরজি কর সংলগ্ন কোনও জায়গায় ১৮ থেকে ২৪ পর্যন্ত তারিখ পর্যন্ত পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ভারতীয নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।।