যদ্যপ্যেতে ন পশ্যন্তি লোভোপহতচেতসঃ।
কুলক্ষয়কৃতং দোষং মিত্রদ্রোহে চ পাতকম্ ৷৷ ৩৭ ৷৷
কথং ন জ্ঞেয়মস্মাভিঃ পাপাদম্মান্নিবর্তিতম্।
কুলক্ষয়কৃতং দোষং প্রপশ্যস্তিজনার্দন ৷৷ ৩৮ ৷৷
হে জনার্দন! যদিও এরা রাজ্যলোভে অভিভূত হয়ে কুলক্ষয় জনিত দোষ ও মিত্রদ্রোহ নিমিত্ত পাপ লক্ষ্য করছে না, কিন্তু আমরা কুলক্ষয় জনিত দোষ লক্ষ্য করেও এই পাপকর্মে কেন প্রবৃত্ত হব?
কুলক্ষয়ে প্রণশ্যন্তি কুলধর্মাঃ সনাতনাঃ।
ধর্মে নষ্টে কুলং কৃৎস্নমধর্মোঽভিভবত্যুত ৷৷ ৩১ ৷৷
কুলক্ষয় হলে সমাতন কুলধর্ম বিনষ্ট হয় এবং তা হলে সমগ্র বংশ অধর্মে অভিভূত হয়।
অধর্মাভিভবাৎ কৃষ্ণ প্ৰদুষ্যন্তি কুলস্ক্রিয়ঃ।
স্ত্রীষু দুষ্টাসু বায়ে জায়তে বর্ণসঙ্কর ৷৷ ৪০ ৷৷
হে কৃষ্ণ! কুল অধর্মের দ্বারা অভিভূত হলে কুলবধূগণ ব্যভিচারে প্রবৃত্ত হয় এবং হে বায়ে! কুলস্ত্রীগণ অসৎ চরিত্রা হলে অবাঞ্ছিত প্রজাতি উৎপন্ন হয়।
সন্ধরো নরকায়ৈব কুলয়ানাং কুলস্য চ ।
পতন্তি পিতরো হোষাং লুপ্তপিণ্ডোদকক্রিয়াঃ ৷৷ ৪১ ৷৷
বর্ণসঙ্কর উৎপাদন বৃদ্ধি হলে কুল ও কুলঘাতকেরা নরকগামী হয়। সেই কুলে পিণ্ডদান ও তর্পণাক্রিয়া লোপ পাওয়ার ফলে তাদের পিতৃপুরুষেরাও নারকে অধঃপতিত হয়।
দোষৈরেতৈঃ কুলয়ানাং বর্ণসঙ্করকারকৈঃ।
উৎসাদান্তে জাতিধর্মাঃ কুলধর্মাশ্চ শাশ্বতাঃ ৷৷ ৪২ ৷৷
যারা বংশের ঐতিহ্য নষ্ট করে এবং তার ফলে অবস্থিত সম্ভানাদি সৃষ্টি করে,তাদের কুকর্মজনিত দোষের ফলে সর্বপ্রকার এবং
কল্যাণ -ধর্ম উচ্ছন্নে যায়।
উৎসন্নকূলধর্মাণাং মনুষ্যাণাং জনার্দন ।
নরকে নিয়তং বাসো ভবতীত্যনুশুশ্রম || ৪৩ ।।
হে জনার্দন! আমি পরম্পরাক্রমে শুনেছি যে, যাদের কুলধর্ম বিনষ্ট হয়েছে, তাদের নিয়ত নরকে বাস করতে হয়।
অহো বত মহৎ পাপং কর্তুং ব্যবসিতা বয়ম্ ।
যদ্ রাজ্যসুখলোভেন হন্তুং স্বজনমুদ্যতাঃ || 88 ।।
হায়! কী আশ্চর্যের বিষয় যে, আমরা রাজ্যসুখের লোভে স্বজনদের হত্যা করতে উদ্যত হয়ে মহাপাপ করতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছি।
যদি মামপ্রতীকারমশস্ত্রং শস্ত্রপাণয়ঃ ।
ধার্তরাষ্ট্রা রণে হন্যুস্তন্মে ক্ষেমতরং ভবেৎ ।। ৪৫ ৷৷
প্রতিরোধ রহিত ও নিরস্ত্র অবস্থায় আমাকে যদি শস্ত্রধারী ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রেরা যুদ্ধে বধ করে, তা হলে আমার অধিকতর মঙ্গলই হবে।
সঞ্জয় উবাচ
এবমুক্তার্জুনঃ সংখ্যে রথোপস্থ উপাবিশৎ ।
বিসৃজ্য সশরং চাপং শোকসংবিগ্নমানসঃ ৷৷ ৪৬ ৷৷
রণক্ষেত্রে এই কথা বলে অর্জুন তাঁর ধনুর্বাণ ত্যাগ করে শোকে ভারাক্রান্ত চিত্তে রথোপরি উপবেশন করলেন।
★ শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ রচিত “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ” গ্রন্থের মূল সংস্কৃত শ্লোক ও অনুবাদ ৷