এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৬ আগস্ট : কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ বর্ষীয়া তরুনী চিকিৎসককে নৃশংস বর্বরোচিত ভাবে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার সুবিচারের দাবিতে গত বুধবার (১৪ অগস্ট) রাতে পথে নামেন রাজ্যের মানুষ। কলকাতার রাজপথসহ রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করে । প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন চিকিৎসকরাও। আর জি কর হাসপাতালের সামনেও জমায়েত হয়েছিলেন প্রচুর চিকিৎসক । হঠাৎই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আন্দোলনকারীর বেশে দুষ্কৃতীরা কয়েক হাজার দুষ্কৃতীরা ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে তান্ডব চালাতে শুরু করে । এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ঢুকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাঙচুর করা হয়। এমনকী, সেমিনার হলেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। হামলায় জড়িত এখনো পর্যন্ত পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ওই হামলা ‘বিশেষ সম্প্রদায়ের’ লোকদের দ্বারা চালানো হয়েছিল । বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন,’কালকে ২০০০ জন বিশেষ সম্প্রদায়ের লোককে জড়ো করে ডাক্তারি ছাত্রদের উপর আক্রমণ করেছে । ক্ষমার অযোগ্য ।’ তিনি বারবার একই কথা বলেন,’দফা এক দাবি এক মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ ।’ পাশাপাশি তিনি সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলকে আজ গোটা রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানান৷
সেই সাথে কলকাতার ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের প্রমান নষ্ট করে দেওয়ার আশঙ্কা করে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন । তিনি টুইট করে জানিয়েছেন,পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা পুলিশ প্রথমে অপরাধীদের তাদের অপরাধের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে একটি দুর্গন্ধযুক্ত জলাবদ্ধতায় পরিণত করেছে এবং এখন টিএমসি গুন্ডাদের প্রমাণ ধ্বংস করার জন্য পুরো প্রাঙ্গনে আঘাত করার অনুমতি দিয়েছে (যা বাকি ছিল) এবং আন্দোলনরত ডাক্তারদের ভয় দেখানো হচ্ছে ।
তাদের বিকৃতি এমনই ছিল যে পুলিশ সদস্যরা টয়লেটের ভিতরে আশ্রয় নিলে মধ্যরাতে হিংস্র জনতা গার্লস হোস্টেলে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা এবং মাননীয় ডিরেক্টর, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে চিঠি দিয়েছি, আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যে ভাঙচুর সংঘটিত হয়েছিল এবং তাদের আরজি কর-এ প্রমাণের আরও ধ্বংস রোধ করতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করেছি ।’ চিঠির কপিও তিনি পোস্ট করেছেন ।।