প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ আগস্ট : স্বাধীনতার মধ্যরাত যখন গোটা বাংলার রাস্তা মহিলারাদের দখলে সেই সময়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক মহিলা।এমনই ঘটনায় বুধবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার নান্দুর গ্রামে । সেখানকার ঝাপানতলা এলাকার নির্জন জাগায় মেলে তরুণীর গালাকাটা মৃতদেহ। এই খবর পেয়েই জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায় । পুলিশ তরুণী খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন,তদন্ত শুরু হয়েছে।খুনিকে দ্রুত ধরার সব রকম প্রচেষ্টা পুলিশ চালাচ্ছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর ২২ বয়সী নিহত তরুণীর নাম প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা । তিনি ব্যাঙ্গালোরে একটি শপিং মলে কাজ করতেন। বছর খানেক আগে তিনি শপিং মলে কাজে যোগ দেন। সেখান থেকে দুদিন আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। বাথরুমে যাবার নাম করে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ঘর থেকে বের হন। তারপর থেকে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যাবার পরেও প্রিয়াঙ্কা ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়েন। মেয়ের খোঁজে নামেন তারা। খোঁজ চালাতে চালাতে বাড়ি থেকে আনুমানিক ১০০ মিটারের মধ্যেই প্রিয়াঙ্কার গলা কাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন।তারা চিৎকার করে কান্নাকাটি জুড়ে দেন । তা শুনে প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে যান । সেখানে মাটিতে পড়ে থাকা তরুণীর গলাকাটা রক্তাত মৃতদেহ দেখে পাড়া প্রতিবেশীরাও শিউরে ওঠেন ।
কারা কি কারণে তরুণীকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না তরুণীর পরিবার । প্রতিবেশীরাও তরুণীকে খুনের কারণ নিয়ে ঘোর অন্ধকারে রয়েছেন । তরুণীর বাবা সুকান্ত হাঁসদা পেশায় দরজী । বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তাঁর দোকান রয়েছে । তিনি বলেন,আমার মেয়ে পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিল। বি-এ পাশ করার পর দর্শন বিষয়ে এম-এ পড়ার জন্যে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল । নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্যাঙ্গালোরের শপিং মলে কাজে যোগ দেয়।সুকান্তবাবু বলেন,কারা আমার মেয়েকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করলো তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।মনে হয় ব্যক্তিগত আক্রোশে ,হিংসায় কেউ আমার মেয়েকে খুন করেছে।’পুলিশ দ্রুত খুনিকে গ্রেপ্তার করে তার কটোয় শাস্তির ব্যবস্থা করুক,এই দাবি জানিয়েছেন নিহত তরুণীর বাবা। তরুণীর মা কাজল হাঁসদা বলেন,’আমার মেয়ে পড়াশোনা নিয়ে থাকতেই ভালো বাসতো। মেয়ের কোন শত্রু ছিল বলে জানতাম না ।’মেয়েকে খুনে করা জড়িত থাকতে পারে তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না বলে কাজল হাঁসদা জানিয়েছেন।।