ভারতের কিছু মেকি ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দু আর দল ছাড়া বাংলাদেশের হিন্দু নরসংহার,ধর্ষণ, গনধর্ষণ,লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোটা বিশ্বের হিন্দুরা আজ সরব ৷ এই ইস্যুতে তাদের একজোট করে দিয়েছে । সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার বাংলাদেশের হিন্দুদের করুন অবস্থা দেখে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ আদর্শে বিশ্বাসী হিন্দুদের আজ ধর্মান্ধ হিন্দুতে পরিণত করেছে । আর তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে । রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে আর তারা সরকারের উপর ভরসা রাখতে পারছে না, আইন নিজেদের হাতেই তুলে নিচ্ছে । কিন্তু আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি কেন হল ?
আসলে,এতদিন বিজেপিকে ‘সাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দিয়ে আসছিল কংগ্রেস,বামপন্থী, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির মত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি । তাদের আদর্শে অনুপ্রানিত মেকি ধর্মনিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড এতদিন চুপচাপ মেনে নিয়েছিল হিন্দুরা ৷ কিন্তু আজ অনেকাংশে হিন্দুরা একজোট । বরঞ্চ বলা যেতে পারে যে স্বধর্ম রক্ষায় আজ তারা কট্টর । এখন প্রশ্ন ভারতীয় হিন্দুদের কারা কট্টর করেছে ? বিজেপি ? আরএসএস ? বিশ্বহিন্দু পরিষদ? বজরং দল ? নাকি হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা ক্ষুদ্র অংশের একতরফা মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা ?
হিন্দুরা বাবরি কাঠামোতে ৪৫০ বছর ধরে পূজা চালিয়েছিল, সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু এই ধর্মনিরপেক্ষ গ্যাং ভগবান রামকে কাল্পনিক চরিত্র প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল, রামায়ণে ত্রুটি খুঁজে বের করছিল এবং বাবরি কাঠামোকে মসজিদ হিসাবে প্রমাণ করতে নিরন্তর বয়ানবাজি করে যাচ্ছিল । আর তার ফল কি হল ? মেকি ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও যা ৪৫০ বছরেও ঘটেনি তা ১৯৯২ সালে তাই হল, ভেঙে দেওয়া হল বাবরি কাঠামো ।
বাবরীর দেয়াল জ্ঞানবাপীর মতো চিৎকার করছিল, সাক্ষ্য দিচ্ছিল যে কাঠামোটি একটি মন্দির। কিন্তু সুন্নি ওয়াফা বোর্ড জমিতে আগ্রহী ছিল এবং ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরা জ্ঞান প্রচারে আগ্রহী ছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা দুজনই বোকা এবং এই দুই বোকার কারণেই বাবরি কাঠামো ভেঙে নতুন রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছে আজ । জয় হল হিন্দুদের, যদি হিন্দুদের হিন্দুই থাকতে দেওয়া হতো তাহলে তারা আজকের মতো আক্রমণাত্মক হতো না । আসলে ভারতের হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষ করার কৃত্রিম ব্যবস্থা হিন্দুদেরকে ধর্মান্ধ হিন্দুতে পরিণত করেছে।
আজ জ্ঞানবাপী ও শাহী ঈদগাহ নিয়ে একই অবস্থা, মথুরা ও কাশীর সাথে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই, হিন্দুরা নিজেদের মন্দিরের দাবি করছে শ্রদ্ধা ও স্বধর্মের প্রতি ভালোবাসার কারণে। কিন্তু দেখতে থাকুন, সুন্নি ওয়াফ বোর্ড স্থগিত করবে এবং ব্রিটিশ বা চীনের তাঁবেদার ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরা ফের জ্ঞান দিতে শুরু করে দেবে। হিন্দুরা তাদের প্রাচীন মন্দির ফিরে পাবে ঠিকই কিন্তু হিন্দু সমাজের মুখকে আরও ক্ষুব্ধ দেখাবে। গত এক বছরে, শুধুমাত্র দিল্লিতেই ২৫ টিরও বেশি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে, একটি ৮০০ বছরের পুরনো মসজিদও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
একটা সময় ছিল যখন হিন্দুরা মসজিদগুলিকেও ভারতীয় ইতিহাসের অংশ হিসাবে বিবেচনা করত, কিন্তু যখন তারা দেখলেন যে এই উদারতার নামে তার দেবতাদের কাল্পনিক ঘোষণা করা হচ্ছে, তখন তারা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করল ।
আজ হিন্দুরা তাজিয়ার নিচে দিয়ে যায় না, মসজিদের সামনে হাত জোড় করে সে নিজেকে অতি স্মার্ট মনে করে না, তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আজ মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা দেখে হিন্দুরা খুশি, আর এর কারণ একই একতরফা ধর্মনিরপেক্ষতা যা সবসময় হিন্দুদের পিঠে ছুরি মেরেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার দাঁড়িপাল্লা সমান হলে হয়তো এত বিতর্ক হতো না, কিন্তু এটা ছিল সম্পূর্ণ মুসলিমপন্থী ভাবনা এবং নিজেদের দেশে হিন্দুদের প্রান্তিক করার অপপ্রচেষ্টা । যার সুচনা করে গেছেন কংগ্রেসের মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও জহরলাল নেহেরু এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মত নেতারা ৷ তাদের উত্তরসূরিরা একই চেষ্টা করে যাচ্ছে । কিন্তু ফলাফল হবে ভিন্ন ।
কাশী মথুরায়ও একই ঘটনা ঘটবে যা অযোধ্যায় ঘটেছে, মুসলিম সমাজ যে ভুল করেছে তা সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদেরও সুযোগ আছে তাদের মেকি জ্ঞানের দিক পরিবর্তন করে হিন্দু থেকে মুসলমানের দিকে করার ।
কিন্তু এরকম কিছুই ঘটবে না, তারা এখনও শুধুমাত্র হিন্দুদের নিশানা করবে এবং সেই একই ধর্মান্ধ হিন্দুরা যারা আজ দুটি মন্দিরের দাবি করছে তারা এখন তাদের হাজার হাজার মন্দিরের জন্য লড়াই করবে এবং এবার তাদের কেউ আটকাতে পারবে না ।
হিন্দুদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মন্দির ভেঙে ফের মসজিদ নির্মান করবে । তবে মনে রাখবেন এটি এখন ঘটবে না, কারণ এটি কোনও চক্র নয় যে পরিবর্তিত হবে, বরঞ্চ জাতি তার প্রাচীন সভ্যতার দিকে নতুন যাত্রা শুরু করে দিয়েছে। মুঘল হোক বা কংগ্রেস রাজত্ব, আজ অতীত । হিন্দুরা বাড়তে থাকবে এবং তাদের হৃতগৌরব ফিরে পাবে, এটাই এদেশের নিয়তি ।।