প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ আগস্ট : এক ঝলক দেখলে মনে হবে যেন কোন একটি পরিবারের সবাই মিলে দামি হুন্ডাই গাড়িতে চড়ে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবটা যে তা ছিল না সেটা আগাম জানতে পেরে গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ । সেই মতই ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পালশিট টোল প্লাজায় ওত পেতে বসে থেকে পুলিশ ওই হুণ্ডাই গাড়িটির পথ আটকে তল্লাশি চালাতেই ফাঁস হল গাঁজা পাচারের অভিনব ছল চাতুরি কাণ্ড। গাড়িটি থেকে ৫০কেজি গাঁজা উদ্ধারের পাশাপাশি গাঁজা পাচারে যুক্ত থাকার দায়ে পুলিশ এক বৃদ্ধা সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই গাড়িটি ।
পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতদের নাম বেলা দাস, অসীম সরকার, ওমপ্রকাশ প্রসাদ ও রাজেশ খটিক। এদের মধ্যে বেলার বাড়ি বীরভূমের বোলপুর থানার খাদিপাড়ায় । একই থানা এলাকার হাটতলায় রাজেশের বাড়ি।আর বর্ধমান থানার কাঁটাপুকুরে অসীম ও বাজেপ্রতাপপুরের নতুনপুকুর এলাকায় ওমপ্রকাশের বাড়ি।স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার চার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করে। আরও গাঁজা উদ্ধার এবং গাঁজা কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে পুলিশ ধৃতদের মধ্যে অসীম, ওমপ্রকাশ ও রাজেশকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার মাদক সংক্রান্ত মামলার বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিনই ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদনের শুনানি হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি হুণ্ডাই গাড়িতে করে ভিনরাজ্য থেকে গাঁজা নিয়ে একদল লোক আসছে বলে খবর মেলে। গাড়িটি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাবে বলেও জানতে পারা যায় । সেইমতো রবিবার ভোররাতে পুলিশ পালসিট টোলপ্লাজায় নাকা চেকিং শুরু করে। ২টো ১৫ নাগাদ হুণ্ডাই গাড়িটি টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছয়। পুলিশ গাড়িটিকে আটকে গাড়িতে তল্লাশি চালানো শুরু করে ।সেই তল্লাশিতে গাড়ি থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয় বলে পুলিশের দাবি। ওড়িশা থেকে গাঁজা এনে তা বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ এও জেনেছে,গাড়িতে সওয়ার থাকা চারজনই দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার কারবারে জড়িত ।।