এইদিন ওয়েবডেস্ক,১১ আগস্ট : গাজার স্কুলে লুকিয়ে থাকা হামাস সন্ত্রাসীদের উপর ভয়ঙ্কর বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল । গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় আল-দারাজ এলাকায় অবস্থিত আল-তাবাঈন স্কুলে শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে নামাজের সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে গাজার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস পরিচালিত মিডিয়া অফিস । তারা এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে । হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে ।
যদিও ইসরায়েলি মিডিয়া ওশিয়ান্ট ডিফেন্ডার বলেছে,
‘আজ এর আগে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং শিন বেট গাজা শহরের আল-তাবাঈন স্কুল কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি মসজিদের ভিতরে হামাসের কমান্ড-এন্ড- কন্ট্রোল সেন্টারে একটি নির্ভুল হামলা চালায়, এটি এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে যে হামাস এবং ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) ১৯ জন সিনিয়র সদস্যকে স্ট্রাইকে নির্মূল করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার এবং হামাসের দুই সেল কমান্ডার রয়েছে। স্ট্রাইকটি তিনটি নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে পরিচালিত হয়েছিল যা সরাসরি কমান্ড সেন্টারকে প্রভাবিত করেছিল, যার ফলে আশেপাশের কোনো বিল্ডিং, স্কুল কমপ্লেক্স বা এমনকি মসজিদের কোনো গুরুতর ক্ষতি হয়নি। এই ফুটেজটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বারা স্ট্রাইকের ফলে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি মৃত্যুর দাবি করা হচ্ছে মিথ্যা এবং প্রায় অসম্ভব।’
গাজার মিডিয়া অফিস এই হামলার সম্পূর্ণ দায় ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপিয়েছে। একই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশ্ব সংস্থাগুলোর কাছে গাজার বেসামরিক नागরিকদের উপর এই “গণহত্যা” বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়েছে। অপরদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের একটি সামরিক সদর দপ্তর ছিল। তারা আরও দাবি করেছে যে, বেসামরিক ক্ষতি কমাতে সকল রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির মোট ৬টি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের জন্য গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তাদের মারাত্মক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৯,৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ।
এদিকে আইডিএফ শনিবার রাতে ঘোষণা করেছে যে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গত কয়েকদিন ধরে খান ইউনিসের উপর লক্ষ্যবস্তু হামলায় ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় অংশ নেওয়া একজন সহ একাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে । আইডিএফ-এর ৯৮ তম ডিভিশনও খান ইউনিসে, মাটির উপরে এবং নীচে লক্ষ্যবস্তু অভিযান চালিয়েছে। সপ্তম ব্রিগেড এবং ইয়াহালোম ইউনিট একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের ভিতরে অস্ত্র খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্যে রাইফেল এবং বিস্ফোরক রয়েছে, যা তারা বলেছে যে দীর্ঘমেয়াদী অবস্থানের ইঙ্গিত রয়েছে ।।