প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৫ আগষ্ট : ভিন রাজ্যে আলু পাঠাতে দেওয়া হচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে পথে নামলো আলু ব্যাবসায়ীরা। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর দাবিতে মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের কার্জনগেট এলাকায় রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখান আলু ব্যবসায়ীরা।পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা আলুচাষী বাঁচাও সমিতি জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেয়। তাদের সঙ্গে সঙ্গত দেয় প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি উত্তম পাল বলেন, কৃষকের ফসল আলু নায্যমূল্যে কিনতে হবে। আলু চাষের স্বার্থে ভিন রাজ্যে আগের মতো আলু সরবরাহ চালু রাখতে হবে। উন্নত মানের বীজ নায্যমূল্যে সরকারেকে দিতে হবে। সারের কালোবাজারী বন্ধ করতে হবে। নির্ধারিত মূল্যে কৃষক যাহাতে সার পায় তা সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষনা করতে হবে। কীটনাশক ঔষধের দাম কমাতে হবে। আলু চাষের জন্য চাষের ইলেকট্রিক বিলে ছাড় দিতে হবে। স্টোর গেট হইতে ২৬ টাকা কিলো আলু সরকারকে কিনতে হবে । মূলত এই ১১ দফা দাবিতে এদিন জেলা শাসকদের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বর্ডার খুলে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সম্পাদক জগবন্ধু মণ্ডল বলেন,আমরা চাই বর্ডার খুলে দেওয়া হোক, নাহলে আলু বাইরে পাঠাতে পারা যাবেনা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার পর মন্ত্রী বেচারাম মান্না মিটিং করে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে। সেখানে মন্ত্রী আশ্বাস দেন কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হোক।তারপর মিটিং করে গোটা বিষয়টি দেখা হবে বলে তিনি বলেছিলেন।কিন্তু কোন কিছু আর এগোয় নি।তাই আমরা বাধ্য হয়ে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিলাম।আলু ভিন রাজ্যে না গেলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়বে।জগবন্ধু মণ্ডল দাবি করেন,হিমঘরে প্রচুর আলু মজুত আছে। এখন আলু বাইরে না গেলে আলু পচবে হিমঘরে। জেলাশাসক তাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।।