এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ আগস্ট : গত ২৩ জুলাই, দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্কের খালের জলে ভেসে আসা একটি বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য । প্রথমদিকে মৃতার নাম, পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। প্রায় ছদিন পর তার নাম, পরিচয় জানতে পারে পুলিশ । জানা গেছে, ওই দেহটি এক নাবালিকার। দেহ উদ্ধারের সময় পেটে প্রচুর জল ও কাদা পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন যে, জীবন্ত অবস্থায় জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। ফলে যখন বস্তাবন্দি করা হয়, তখনও নাবালিকা জীবিত ছিল । নাবালিকার হাতে বেশ কয়েকটি জায়গায় সূঁচ ফোটানোর চিহ্নও পাওয়া যায়। তা থেকে অনুমান যে কিশোরীকে চেতনানাশক ইঞ্জেকশন দিয়ে বেহুঁস করে বস্তায় ভরে সেলাই করে খালের জলে ফেলে দেওয়া হয় । তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে কিশোরীর লিভ ইন পার্টনারই তাকে খুন করেছে । ঘাতকের এক সহযোগী কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত এখনো পলাতক বলে জানা গেছে ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে কিশোরীর হাতে উল্কি দিয়ে লেখা ছিল ‘মুবারক’ । আর সেই লেখা থেকেই কিশোরীর লিভ-ইন পার্টনারকে চিহ্নিত করে পুলিশ ৷ সাংবাদিক অশ্বিনী শ্রীবাস্তব রবিবার এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিয়ে দাবি করেছেন, ‘পল্লবী(নাম পরিবর্তিত), একটি ১৭-বছর-বয়সী মেয়েকে তার লিভ-ইন পার্টনার মোহাম্মদ রাহুল মুবারক (১৯), পশ্চিমবঙ্গের একজন ক্যাব চালক দ্বারা বেহুশ করে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ।
একাধিক নারীর সাথে মুবারকের সম্পর্ক একটি দ্বন্দ্বের জন্ম দেয় যা শেষ পর্যন্ত একটি দুঃখজনক পরিণতির দিকে নিয়ে যায়, যার ফলে তার সঙ্গীকে হত্যা করা হয়।
তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল কলকাতার একটি খালে, রক্তে ভেজা একটি ব্যাগের ভিতরে সিল করা ছিল যা একটি লাল স্যুটকেসে আবদ্ধ ছিল।রিজেন্ট পার্কের শান্তিনগর খাল সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় এবং তার হাতে “মোবারক” নামের একটি ট্যাটু দ্বারা শনাক্ত করা হয়। এই হৃদয় বিদারক ঘটনায়, একজন নাবালকও জড়িত ছিল, যে ব্যাগের ভিতর দেহটি সেলাই করেছিল। নাবালক বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, আর মোবারক পলাতক রয়েছে।’।