এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৩ আগস্ট : নিয়োগ দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি,কয়লা পাচার,গরু পাচার – তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে কার্যত দুর্নীতির পাহাড় জমেছে । কিন্তু সব দুর্নীতিতে টেক্কা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যীতিপ্রিয় মল্লিক তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রিয়পাত্র “বালু” ৷ রেশনের দুর্নীতির হাজার হাজার কোটি টাকা সরাতে কার্যত বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয় জ্যীতিপ্রিয়কে । সেই কারনে দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনিসুর দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশ এবং আলিফ নুর ওরফে মুকুলকে রীতিমতো ‘ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ! এসএসকেএমে বসে লেখা জ্যোতিপ্রিয়র একটা চিঠি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের(ইডি) হাতে চলে এলে এই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আসে । পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে লেখা ওই চিঠিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন যে টাকার দরকার পড়লে শাহজাহান, বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য, বিদেশ ও মুকুলকের কাছে গচ্ছিত রাখা টাকা থেকে প্রাপ্য সুদের টাকা সংগ্রহ করে নেয় । সুদ বাবদ মুকুলের কাছে মাসিক ১০ লক্ষ টাকা করে পাওনা বলে তিনি জানান চিঠিতে । ব্যাঙ্ক আমানতে উপর সুদের হার ৬ শতাংশ হিসাবে মুকুলের কাছে গচ্ছিত টাকার পরিমান ২০ কোটি টাকা হিসাব করেছে ইডি ।
বৃহস্পতিবার রাতে আনিসুর ও তার সহদর ভাই আলিফকে গ্রেফতার করেছে ইডি । জেলবন্দি বাকিবুর রহমানের মামাতো ভাই। মামার হাত ধরেই তারা জ্যীতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে । রেশন দুর্নীতিতে তাদের তাদের প্রত্যক্ষ যোগ আছে এবং ভূয়া চাষিদের নামের তালিকা তৈরি করে দু’ভাই সহায়ক মূল্যের ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিল বলে দাবি ইডির । আর এতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মদত ছিল বলে অভিযোগ৷ । জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিয়ন্ত্রণাধীন তিনটি সংস্থায় সেই টাকা জমা করা হয়েছিল।
ইডি আদালতে দাবি করেছে,আনিসুরদের বাড়ি থেকে পাওয়া নথিতে জানা গেছে যে দুর্নীতির কোটি কোট টাকা তারা চালকল ও আটাকল প্রভৃতি ব্যবসা ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছিল । নিউ দিঘায় একটি বিলাসবহুল হোটেলও রয়েছে তাদের ৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ আনিসুর রহমান ও আলিফ নুরকে ১০ দিনের জন্য ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ।।