এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফৈজাবাদ(উত্তরপ্রদেশ),০৩ আগস্ট : উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ আসন থেকে নবনির্বাচিত সমাজবাদী পার্টির(এসপি) সংসদ সদস্য, অবধেশ প্রসাদের (Awadesh Prasad) ঘনিষ্ঠ সহযোগী মঈদ খানের (Moeed Khan)বিরুদ্ধে একটি ১২ বছরের হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ ও গর্ভবতী করার অভিযোগ উঠেছে । অভিযুক্ত মঈদ খান সমাজবাদী পার্টির ভাদারসা শহরের সভাপতি । মঈদ খান এবং তার সহযোগী রাজুর বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ এ(১৬ বছরের কম বয়সী মেয়েকে গণধর্ষণ) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং পকসো আইন, ২০১২- এর ৫(এম) এবং ৬ ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে । এবারে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল বাবার বুলডোজার । মঈদ খানের বেকারি দুটি বুলডোজারের সাহায্যে মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের পরে, আজ শনিবার সকাল ১১:০০ টায় একটি বুলডোজার এই বেকারিটি ভেঙে ফেলার জন্য আসে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসন অনিরুধ প্রতাপ সিং এবং অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব সত্যেন্দ্র সিং সহ এসডিএম সোহাওয়াল অশোক সাইনির উপস্থিতিতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছিল। সকালে বেকারির দেয়ালের একটি অংশ ভেঙে ফেলার পর পুকুরের কাঁচা কাদায় আটকে যায় বুলডোজার । এর পর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দ্বিতীয় বুলডোজারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় দ্বিতীয় বুলডোজার আসে ।আবার শুরু হয় বেকারি ভাঙার প্রক্রিয়া। কিছুক্ষণ পর আরেকটি বুলডোজারও আসে। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে দুটি বুলডোজার মিলে পুরো বেকারিটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । বেকারি ভবনের পাশাপাশি এর দেয়ালও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর পরে, অভিযুক্ত এসপি নেতার পুকুরের অন্য অংশে একটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জায়গাটিও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে । অভিযুক্তদের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে । এমনকি মঈদ খানের বেকারির লাইসেন্সও বাতিল করা হবে । শনিবার, সহকারী খাদ্য কমিশনার মানিকচাঁদ সিং অভিযুক্ত মঈদ খানের বেকারিতে অভিযান চালান, যেটি একটি বিশাল জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল । এ সময় বেকারিতে তৈরি খাবারের নমুনা নেওয়া হয়। এর পর বেকারিটি সিলগালা করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার মানিক চন্দ জানান, বেকারির লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেক বড় জমি দখল করে বেকারিটি তৈরি করা হয়েছিল। প্লটের একটি অংশে একটি বেকারি ছিল যখন একটি বড় অংশে ফসল বপন করা হয়েছিল।
অযোধ্যা জেলার পুরকালান্দর থানার পুলিশ একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য নির্যাতিতা পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজনেত বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে৷ নথিভুক্ত এফআইআর-এ, পুরকালান্দর থানা এলাকার ভারতকুণ্ড পিপরার বাসিন্দা রামসেবক দাস বলেছেন যে সমাজবাদী পার্টির চেয়ারম্যান মহম্মদ রশিদ, এসপি নেতা জয় সিং রানা এবং অন্য একজনকে নিয়ে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ জেলা মহিলা হাসপাতালে পৌঁছান এবং তারা প্রাইভেট ওয়ার্ডে ভর্তি ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে মিটমাট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সমঝোতা না হলে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তারা । সিটি কোতোয়াল অশ্বানি পান্ডে জানান, রামসেবক দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এর আগে অযোধ্যা নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার মা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন । এসপি নেতা মঈদ খান এবং তার কর্মী রাজু খানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী, যারা নাবালিকা মেয়েটির উপর এই জঘন্য অপরাধ করেছে। মঈদ খান সমাজবাদী পার্টির ফৈজাবাদের সাংসদ অবদেশ পাসির খুব ঘনিষ্ঠ । এই ঘটনায় এতদিন মুখে কুলুপ দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব । অবশেষে তিনি মুখ খুলেছেন । সপা সভাপতি অখিলেশ যাদব ধর্ষণ ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় ডিএনএ টেস্ট করে বিচারের দাবি করেছেন। জৌনপুরে একটি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি দোষীদের শাস্তি দাবি করেন এবং বলেন যে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে, সেই ক্ষেত্রে দায়ী অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি ।।