এইদিন ওয়েবডেস্ক,আহমেদাবাদ,২৮ জুলাই : একজন বিবাহিত পুরুষ এবং তিন সন্তানের বাবার প্রেমে পড়ে বাড়ি ও ধর্ম ত্যাগ করল গুজরাটের আহমেদাবাদের এক ২৪ বছর বয়সী তরুনী । তরুনী বাড়ি থেকে সোনার গহনা ও টাকাপয়সা নিয়ে মুম্বাইয়ে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিককে নিকাহ করে । কিন্তু মেয়েটির পরিবারের বিরোধিতার কারণে দম্পতি গুজরাট পুলিশের পদক্ষেপের ভয় পেয়ে সুরক্ষা চেয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । যার পরে এখন এই মামলায় আদালত মুম্বাই পুলিশকে এই দম্পতিকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ।
মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে-দেরে এবং পৃথ্বীরাজ চ্যবনের একটি বেঞ্চ দম্পতির দায়ের করা আবেদনের শুনানি করার সময় বলেছিল, ‘আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে আবেদনকারীরা যেখানেই যান না কেন,আগামী ৮ আগস্ট, পর্যন্ত তাদের নিরাপত্তার জন্য দুটি সশস্ত্র প্রহরী সরবরাহ করুন । বেঞ্চ আহমেদাবাদের নারোল থানাকেও নির্দেশ দিয়েছে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিতে ।’
গুজরাটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানা গেছে,এই দম্পতির মধ্যে, লোকটি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা এবং মেয়েটি আহমেদাবাদের বাসিন্দা। লোকটি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক । তাকে বিয়ে করার জন্য তরুনী আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাই আসে । যেখানে সে মুসলিম রীতি অনুসারে লোকটিকে বিয়ে করে ।
তরুনী ওই মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে ছয় বছর ধরে প্রেম করছিল। বাড়ি থেকে পালিয়ে হওয়ার পর তরুনীর পরিবার প্রথমে নিখোঁজ ডাইরি করে। তবে পরে সত্যতা বেরিয়ে এলে তার দাদা তরুনীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, সাড়ে চার লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার নগদ নিয়ে সে পালিয়ে গেছে । যদিও আদালতে দম্পতির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী এমএল কোচরেকার এবং মোহাম্মদ আহমেদ শেখ যুক্তি দিয়েছিলেন যে যেহেতু দম্পতি সুরক্ষা চেয়ে হাইকোর্টের কাছে গিয়েছিলেন এবং চুরির মামলাটি পরে নথিভুক্ত করা হয়েছিল তাই ওই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হোক । শুনানির সময়, গুজরাট পুলিশের পাশাপাশি, মেয়েটির বাবা-মা এবং দাদাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মেয়েটি বিচারকে বলেছে যে গত ১৫ জুলাই বাড়ি থেকে পালানোর সময় সে কিছু চুরি করেনি। মা-বাবা চাইলে সোনার চেইন ও কানের দুল ফেরত দিতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।।