এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাকিস্তান,২৭ জুলাই : পাকিস্থানে একের পর এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর জোর করে ধর্মান্তরিত করার পর নিকাহ করতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটেছে । পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগে একজন হিন্দু ব্যবসায়ীকে হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি জিহাদি পুলিশের বিরুদ্ধে । অল্পবয়সী হিন্দু মেয়েকে অপহরণ- ধর্ষণ-ধর্মান্তরিত-নিকাহের তিনটি ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক প্রবাসী পাকিস্তানি খ্রিস্টান সমাজকর্মী ফারাজ পারভেজ । তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ছবিসহ লিখেছেন, ‘পাকিস্তানে গত ২২ শে জুলাই, সিন্ধুর সাংঘার থেকে একটি নাবালিকা হিন্দু মেয়ে কাশিশ লোহানাকে অপহরণ করা হয়, ধর্ষণ করা হয়, জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং গোলাম মুস্তফাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। সাতজন মুসলিম পুরুষ তাকে অপহরণ করে যখন মেয়েটি খান একাডেমিতে কম্পিউটার শিখতে যাচ্ছিল ।’
দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি জানিয়েছেন,’সিন্ধুর বন্যাকবলিত জুধো, মিরপুরখাস এলাকায় এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং মুসলিম পুরুষ আলী গুল তাহিমের সাথে বিয়ে করার পর ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে।’
তৃতীয় ঘটনাটি পাকিস্তানের সাংঘার এলাকায় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফারাজ পারভেজ । তিনি টুইট করেছেন, সাংঘার থেকে ১৭ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়ে সিন্ধিয়া কুমারীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম পুরুষের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে ।’
পাশাপাশি এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে মারার ঘটনাটি পাকিস্তানের সাখরে এলাকায় ঘটেছে বলে তিনি জানান৷ এই বিষয়ে তিনি টুইট করেছেন, ‘পাকিস্তানে একজন হিন্দু ব্যবসায়ী চেতন দাস লোহানাকেব(৩৫) মদ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার এবং হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে মারা হয়েছে । ৩৫-বছর-বয়সী হিন্দু ব্যবসায়ী চেতন দাস লোহানাকে গত ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যা তার পরিবার এবং সমর্থকরা দাবি করেছে যে অবৈধ মদ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ।লোহানা একটি স্থানীয় মদের দোকান থেকে দুই বোতল হুইস্কি কিনেছিলেন বলে জানা গেছে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল । ঘটনাটি সাখরে প্রকাশ পায়, যেখানে লোহানাকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সাখর সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে তার মৃতদেহ তার শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবার অভিযোগ করেছে যে লোহানা নির্দোষ এবং তার ধর্মীয় পটভূমির কারণে তাকে টার্গেট করা হয়েছিল।’।