এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৪ জুলাই : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী ঘটে যাওয়া ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশঙ্কা ছিল এমন একটা আঘাত আসবে। দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত এ ধরনের হামলা চালাতে পারে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (২৪ জুলাই) পিএমও কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক ও হেড অব নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় তার এই আশঙ্কার করা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমাদের জাতীয় নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, তবে আমরা সেই নির্বাচন করেছি। আমরা সবার কাছে নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি এবং তারপর সরকার গঠন করেছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গঠন করলেও আমার আশঙ্কা ছিল যে, এ ধরনের একটা আঘাত আসতে পারে। কেননা, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরেও বিএনপি-জামায়াত চক্র সারাদেশ অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। তাতে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আহত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, বোধগম্য হচ্ছে যে এই আন্দোলন ও কর্মকাণ্ড একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র। তবে আমি এমন কোনো ঘটনা দেখতে চাই না, যা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে কিংবা অনাকাঙ্খিত কোনো পরিস্থিতি ডেকে আনবে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। মানুষের জীবিকা নির্বাহের স্থাপনা তারা ধ্বংস করেছে। জনগণের কল্যাণের জন্য তৈরি সব কাঠামোতে তারা আঘাত করেছে।
দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্য নিয়ে চালানো বিপর্যয়কে যারা সমর্থন দিচ্ছে, তাদের বোধবুদ্ধির স্তর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা ও চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নষ্ট করতে অত্যন্ত তৎপর। তাদের টার্গেট ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা যখন আন্দোলনের মাঠে ছিল, তখন আমি কখনোই সেনা মোতায়েন করতে চাইনি। কোনো কারফিউ দিতে চাইনি, তবে যখনই তারা (ছাত্ররা) ঘোষণা করল যে তারা চলমান নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয়, তখনই সেনাবাহিনীকে ডেকেছি আমরা। হাসিনা বলেন, যখন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মানা হলো, তখন তারা কেন জঙ্গিদের এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ দিলো? এজন্য কোটা আন্দোলনকারীদের জাতির কাছে একদিন জবাব দিতে হবে ।।