সাদা কাপড়ের চাদর সরিয়ে বেরিয়ে আসছে ঘুমন্ত এক একটা বিভৎস রক্তাক্ত প্রহর…
এই রকম এক দুঃসময়ের সাক্ষী থেকে আমার চোখে ভেসে উঠছে কৌরব মাতা গান্ধারীর রূপ,,,,,,
মনে পড়ছে মহাভারতের পাতায় পড়া আপনার দুঃসাহসীক পতিব্রতা স্ত্রী হয়ে ওঠার কথা—- তার সাথে এও পড়ছে মনে—- আপনার ব্যভিচারী গুণধর পুত্রদের কর্মকান্ডের কথা—-
যারা আজও আধুনিক কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গণে ব্যভিচারের অভিনব কদর্যরূপ ধারণ করে বিরাজমান !
অভিভূত হয়েগেছি এক এক সময় এই সব কথা ভাবতে ভাবতে….
অনেক জল গড়িয়ে গেছে ভাগীরথী দিয়ে এত যুগ ধরে….
অনেক ঝড় বয়ে গেছে এ সমাজের নারীদের উপর দিয়ে,,,,
আজ এই শতাব্দীর বুকে দাঁড়িয়ে নারীদের দুরাবস্থার কথা ভেবে বারংবার আপনাকেই দায়ী করতে ইচ্ছে করছে …….
আপনার শতসন্তানকে ব্যাভিচারের পথ থেকে আপনি বিরত হতে বলেন নি কেনো সেদিন ?
আপনার স্বামী অন্যায়ের পথে চলছে জেনেও….কেনো আপনি প্রতিবাদ করেন নি সেদিন ?
একজন নারী হয়ে ভরা সভাস্থলে বস্ত্র হরণের মত ঘৃণ্য নারীত্বের অবমাননার প্রতিবাদ করতে পারেননি আপনি—-গান্ধারী….
সে সম্মানহানি কি আপনারও নারীত্বের নয় !
গান্ধারী—-আপনি এতটাই অন্ধ আজ—-
আপনার একশতো সন্তান আজ হাজারে হাজারে লুঠতরাজ,আতঙ্কের বিষবাষ্প ছড়িয়ে চলছে এ সমাজের বুকে,,,,,
রাতের আঁধারে শত শত পাঞ্চালীর করে চলে বলাৎকার।
জানি না —জানি না এই শত শত পাঞ্চালীর আত্মক্রন্দন আপনার কানে পৌঁছাবে কি না!
না কি মাঝপথে কোন দুর্যোধন,দুঃশাসন পথ আগলে দাঁড়িয়ে তাকে বিবস্ত্র করবে—-
যেখানে দেবকীর অষ্টম গর্ভের ঈশ্বরও পরিত্রাতা হয়ে উঠতে পারবেন না সঠিক সময়ে,,,,,,
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে সব তথ্য প্রমাণ,,,
আমরা কেবল গান্ধারীর মত নীরব দর্শক হয়ে থাকি—–এ সমাজের বুকে।।