এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,২১ জুলাই : তখন উত্তরপ্রদেশে (ইউপি) ক্ষমতায় সমাজবাদী পার্টি(এসপি) । মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব । তারই এক ঘনিষ্ঠ এসপি নেতা মইনপুরির কারহাল নগর পঞ্চায়েত সভাপতি চৌধুরী আবদুল নাঈম এলাকার একটা বড়সড় সরকারি জলাশয় বুজিয়ে নির্মান করেছিলেন বিশাল একটা বিয়েবাড়ি । অবশেষে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি ওই জলাশয় ফের পূর্বাবস্থায় ফিরতে চলেছে । অখিলেশ যাদবের জমানায় ঘটে যাওয়া এতবড় অন্যায়ের এবার যোগী আদিত্যনাথের জমানায় ন্যায় পেতে চলেছে এলাকার বাসিন্দারা । আবদুল নাঈমের সাধের বিয়েবাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ‘বাবার বুলডোজার’ ।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং বিয়েবাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ময়নপুরীর করহালে একটা বড় পুকুর ছিল। যা প্রাকৃতিক জল সঞ্চয় হিসাবে কাজ করত৷ প্রকৃতি এই পৃথিবীতে সব পুকুর, পুকুর, নদী-নালা তৈরি করেছে যাতে জল সংরক্ষণ করা যায়। তারপরে সমাজবাদী পার্টির সরকার আসে এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং কারহাল পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিলেশ যাদবের ঘনিষ্ঠ আব্দুল নাঈম বিশাল পুকুরটি বুজিয়ে সেখানে অবৈধভাবে তার ম্যারেজ হল তৈরি করে। কিন্তু সরকারি কাগজপত্রে পুকুরটি এখনো আছে । এরপর যোগীজির বুলডোজার তার কাজ করেছে এবং সরকারি পুকুরের উপর নির্মিত অবৈধ বিবাহ হলটি ভেঙে দিয়েছে । এখন আবার এখানে পুকুর নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।’
সংবাদ মাধ্যম ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ‘আয়েজা ম্যারেজ হল’ নামে ওই বিয়েবাড়িটি নির্মাণ করেন চৌধুরী আবদুল নাঈম তার স্ত্রী ফারজানা বেগমের নামে । ০.২৮৩ হেক্টর সরকারি জমি দখল করে দ্বিতল বিয়েবাড়িটি নির্মান করা হয়েছিল । যার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা । এই বিষয়ে নগর পঞ্চায়েতের সভাপতি সঞ্জীব যাদব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। চৌধুরী আব্দুল নাঈম নোটারি স্ট্যাম্পে অনেকের কাছে প্লট বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ তার ৷ তিনি নিজেই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বিবাহ হলের দিকে যাওয়ার রাস্তায় পাহারা বসিয়েছিল পুলিশ। আদালতের দ্বারস্থ হয় এসপি নেতা আবদুল নাঈম । কিন্তু তার আপিল খারিজ হয়ে যায়।
এরপর আজ রবিবার সকাল ১০ টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ ৷ বিষয়টির সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করে পিএসি-র ৪টি কোম্পানির পাশাপাশি পুরো জেলার পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় । সেই সময় নেক পুলিশ ইন্সপেক্টর, স্টেশন ইনচার্জ ও এসডিএম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় ৩০০ মিটারের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আশেপাশের ছাদেও কাউকে দর্শক হতে দেওয়া হয়নি। বিয়ে বাড়ির মূল ফটক, আট ফুট উঁচু বাউন্ডারি ও বাথরুম ভেঙে ফেলা হয়েছে । এরপর দু’তলার ঘরগুলো ভেঙে ফেলা হয়। মালপত্র আগেই বের করে দেওয়া হয়েছিল ।
প্রসঙ্গত,২০২২ সালে, অখিলেশ যাদব করহাল বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন, কিন্তু কনৌজ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে, তিনি এই আসনটি ছেড়ে দেন , এখন এখানে উপনির্বাচন হবে।।