এইদিন ওয়েবডেস্ক,মোগাদিশু,১৮ জুলাই : সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে গত রবিবার (১৫ জুলাই) রাতে ইউরো ২০২৪ ফাইনাল দেখার জন্য জড়ো হওয়া ফুটবলপ্রেমীদের ভিড়ের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ ক্যাফের সামনে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ঘটিয়ে নয়জনকে হত্যা এবং ২০ জনকে আহত করেছে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা ।
সোমালিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ এএফপিকে বলেছেন, ‘বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি রেস্তোরাঁয় বিধ্বংসী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করেছি যে বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছে ।’ সোমালিয়া টিভি চ্যানেল সোন্নার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,’আজ সন্ধ্যায় শীর্ষ কফি রেস্তোরাঁর সামনে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে…খারিজি সন্ত্রাসীদের দ্বারা স্থাপন করা হয়েছিল ওই গাড়ি বোমাটি ।’ প্রসঙ্গত, কুখ্যাত ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আল-শাবাবকে বোঝাতে কর্তৃপক্ষ ‘খারিজি’ শব্দটি ব্যবহার করে ।
আল-শাবাব হল আল-কায়েদার সাথে যুক্ত একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, মোগাদিশু এবং অশান্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য বোমা হামলা এবং অন্যান্য হামলা চালিয়েছে তারা । সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ যুদ্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । আমেরিকা সমর্থিত আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সোমালিয়া । এদিকে আল-শাবাব দাবি করেছে যে তারা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে দেশের কেন্দ্রে অনেক এলাকা দখল করেছে।
২০১১ সালে আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) বাহিনী রাজধানী থেকে বিতাড়িত হলেও, আল-শাবাব সোমালিয়ার গ্রামীণ এলাকায় অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। এই গোষ্ঠীটি বারবার রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে, প্রাথমিকভাবে সোমালিয়ায় কিন্তু কেনিয়া সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতেও নাশকতা চালাচ্ছে ওই ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি । গত ৩১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি রেজুলেশনে ২০২৪ সালের মধ্যে সোমালিয়া থেকে সমস্ত এইউ শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মীদের প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করেছে, যাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধুমাত্র সোমালি সেনাবাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারীর উপর থাকবে। ১৩,৫০০ -শক্তিশালী মিশনের মধ্যে প্রায় ৪,০০০ সৈন্য জুনের শেষের দিকে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সৈন্য প্রত্যাহার ধীর করার জন্য সোমালিয়ার অনুরোধের জবাবে, এইউ শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে যে তারা ধীরে ধীরে সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে ৷।