এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,১৬ জুলাই : পাকিস্তান বা বাংলাদেশ নয়, খোদ ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বেরেলিতে ২৩ ছেলে-মেয়ের প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মান্তর ও গণবিবাহ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ‘ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিল’-এর চেয়ারম্যান ও দরগাহ হযরত খানদানের সদস্য মাওলানা তৌকীর রাজা খান । সওদাগরন মহল্লার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৌকীর রাজা নিজেই একথা জানিয়েছেন । এ জন্য তিনি স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতিও চেয়েছেন। আইএমসির সংস্থার ইনচার্জ নাদিম কুরেশি সিটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছেন। তবে যুবক যুবতীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি । হিন্দু সংগঠনগুলো এর বিরোধিতা করছে।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে তৌকীর রাজা জানান, ১৫ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়ে রয়েছে, যারা অন্য ধর্মের হলেও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চায়। তিনি বলেছেন যে তারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং ইতিমধ্যে বিবাহিত। জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই, রবিবার খলিল স্কুলে প্রথমে ৫ দম্পতির ইসলামিক ধর্মান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে । মাওলানা তৌকীর রাজা খান বলেছেন যে তারা সবাই ইতিমধ্যে ধর্মান্তরিত হয়েছেন, কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মান্তরিত হওয়া বাকি আছে । এরপর প্রকাশ্যে গণবিবাহের আয়োজন করা হবে । যদিও এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতির বিষয়ে লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। মাওলানা বলেছিলেন যে প্রত্যেকেরই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে, যে ৫ জন দম্পতির মধ্যে প্রথমে বিয়ে হবে, একজন মধ্যপ্রদেশের, বাকিরা বেরেলির আশেপাশের জেলাগুলির বাসিন্দা । মাওলানা বলেন, লেখাপড়া ও চাকরি করতে গিয়ে এসব ছেলে মেয়ে প্রেমে পড়ে।
কেন তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি ? উত্তরে ‘ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিল’-এর প্রধান মনে করেন যে এটি তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, এর আগে অনেক যুবক-যুবতী এ কাজ করলেও এখন তারা সমাজের সামনে খোলাখুলিভাবে মুসলমান হয়ে বাঁচতে চায়। তিনি বলেছিলেন যে আমরা লিভ-ইন সম্পর্ক সহ্য করতে পারে না। প্রশাসনকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব মানুষ কোনো প্রলোভন বা চাপ ছাড়াই মুসলমান হতে চায়। দাবি করা হয়েছে যে এই লোকেরা একটি হলফনামা দিতেও প্রস্তুত যে তারা নিজের ভাল-মন্দ নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম।।