আমেরিকার পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সেক্স স্ক্যান্ডাল :
পুলিশ আধিকারিকদের যৌন শোষণের অগণিত গল্প আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন বা শুনছেন । কিন্তু আমেরিকার টেনেসি থানার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক যা করেছেন তা এযাবৎ কোনো মহিলাই করেনি । ওই মহিলা তার পুরুষ সহকর্মীদের রূপের জালে ফাঁসিয়ে থানার ভিতরেই উদ্যাম যৌনতায় মেতে উঠতেন । পরিণতিতে সকলকে চাকরি হারাতে হয়েছে । সবাই এখন চাকরি বাঁচানোর চেষ্টায় ছুটছেন ।
আমরা এখানে যে মহিলা আধিকারিকের কথা বলছি তার নাম মেগান হল। মেগান হল বিবাহিত। কিন্তু তার রূপের ছটায় মোহিত হয়েছেন অন্তত ৬ পুরুষ সহকর্মী । চতুর মেগান সেটা বুঝতে পারেন এবং নিজের কামনাপূর্তির জন্য ব্যবহার করেন তাদের । থানার ভিতরেই নিয়মিত পুরুষ সহকর্মীদের সাথে উদ্যাম যৌনতায় মেতে উঠতেন মেগান । কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় দেশ জুড়ে । মার্কিন পুলিশ বিভাগকে কার্যত মুখ লুকাতে হয় । দেশবাসী পুলিশকে এমন ধিক্কার দিতে শুরু করে যে এই কলঙ্ক মুছতে মহিলা পুলিশ আধিকারিক সহ ৭ জন পুলিশকর্মীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে দিতে বাধ্য হয় ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যৌন কেলেঙ্কারিতে নারী কর্মকর্তা মেগান হল ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। এই গল্পের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক দিকটি হল যে সহকর্মীদের সাথে যৌন সম্পর্কের দৃশ্য মিগান হল তার মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দী করে রাখে এবং নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন । ওই মহিলা পুলিশ অফিসার আরও জানিয়েছেন যে তিনি থানায় শুধু ওরাল সেক্স করতেন। মেগান হল দাবি করেন যে তিনি একটি উন্মুক্ত বিবাহ সম্পর্কে রয়েছেন, যার অর্থ তিনি তার স্বামীর উপস্থিত থাকাকালীন যার ইচ্ছা তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। ডব্লিউটিভিএফ-টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেনেসির কর্মকর্তা মেগান হল এবং তার সঙ্গী ‘ওয়াইল্ড সেক্সক্যাপেডস’-এ লিপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের মধ্যে অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান করা, মেয়েদের খোলামেলা আচরণ, হট টব পার্টিতে একে অপরের টপ খুলে ফেলা এবং এমনকি ওরাল সেক্স করা।
দাবি করা হচ্ছে যে মেগান হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গীদের গোপনাঙ্গ নিয়ে বড়াই করেছিলেন। হল আরও দাবি করেছেন যে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও, তার স্বামী তাকে কিছু করতে পারেনি কারণ তিনি একটি খোলা বিবাহের চুক্তির কারণে সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিলেন। টিভি রিপোর্ট অনুসারে, এই যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত দুই কর্মকর্তা তাদের চাকরি হারাননি, তবে বিভাগ তাদের অবশ্যই বরখাস্ত করেছে। প্যাট্রিক ম্যাগ্লিওকো এবং ল্যারি হোলাডে হলের সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তাদের মধ্যে ছিলেন বলে জানা যায়। বিভাগ তাদের চাকরি কেড়ে নেয়নি তবে অবশ্যই তাদের বরখাস্ত করেছে। হল ছাড়াও, সার্জেন্ট লুইস পাওয়েল, অফিসার জন লুগো, সার্জেন্ট টাই ম্যাকগাহন এবং গোয়েন্দা সনেকা শিল্ডসকে তদন্তের পর বরখাস্ত করা হয়েছিল।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লা ভার্গনের মেয়র জেসন কোল জানতে পারেন যে পুলিশ অফিসার মেগান হল তার বেশ কয়েকজন সহকর্মী পুলিশের সাথে যৌনতায় লিপ্ত । শুধু তাই নয়, মেয়র এও খবর পেয়েছিলেন যে আজকাল হল তার সহকর্মী ম্যাগলিওকো এবং তার স্ত্রীর সাথে থ্রিসাম(যখন তিনজনের একটি দল যৌন আনন্দের জন্য একত্রিত হয়) রয়েছে, তাই তিনি পুলিশ বিভাগের সমস্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে এই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দিতে শুরু করেন । আর তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাগলিওকো তদন্তের সময় স্বীকার করেছেন যে তিনি হলের সাথে বেশ কয়েকবার যৌন সম্পর্ক করেছিলেন। তবে এমন একজন কর্মকর্তা ছিলেন যিনি হলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। তিনি এই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান যে হল সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, তার কতজন অংশীদার রয়েছে এবং সে তাদের বেশিরভাগের সাথে এক বিছানায় ঘুমিয়েছে কিনা তার জানা নেই ।।