তুমি আমায় গেলে ছেড়ে
কত কথাই না মনে পড়ে,
চেষ্টা করি তো ভুলতে
ভুলতেতো পারিনা।
তুমি আর আমি একসঙ্গে যেতাম স্কুলে
স্কুল থেকে একসঙ্গে ফিরতামও,
ছিলাম আমরা ভালো বান্ধবী
পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে
স্কুলে আমরা দুজন দুজনের হাত ধরে
আয় তবে সহচরি হাতে হাতে ধরি ধরি
এই গানটির সঙ্গে সঙ্গে নাচ করলাম।
তারপর থেকেই আমরা দুজন দুজনকে
একটু একটু করে ভালোবেসে ফেললাম,
আমরা একে অপরকে ছাড়া
এক মুহূর্ত থাকতে পারতাম না।
তুমি বলেছিলে আমায় ছেড়ে কোনদিনও যাবনা
যাবনা আমিও একই কথা বলেছিলাম,
কিন্তু তুমি তো কথা দিয়ে কথা রাখতে পারলে না।
তোমাদের বাড়িতে তুমি আর আমি
পড়াশোনা করতে করতে দুজন দুজনাই খাচ্ছিলাম চুমু,
চুমু খাওয়া দেখে ফেলেছিল তোমার মা
তারপর থেকেই আমার সঙ্গে তোমার মেলামেশা করতে দিলনা
দিলনা তোমাকে আর আমাদের বাড়িতে আসতেও
আমি জানি তুমি তোমার মাকে বলেছিলে, বলেছিলে ভালবাস তুমি আমাকে,
আমাকেই তুমি বিয়ে করবে
তোমার মা বলেছিল কোনদিনও তা সম্ভব নয়
মেয়ে মেয়ে কখনোই এ বিয়ে হবেনা,
এ বিয়ে কেউ মেনে নেবেনা
নেবেনা মেনে পরিবার,সমাজ।
তারপরেই তোমার মা তোমার বিয়ের ঠিক করে ফেলল,
তোমার বিয়ে হয়ে গেল
তুমি নতুন করে জীবনসঙ্গী পেলে
এবং আমাকে তুমি ভুলে গেলে।
কিন্তু আমি চেষ্টা করেও তোমাকে ভুলতে পারলাম না,
আমি খেতে পারতাম না
পারতাম না দু’চোখের পাতা এক করতে, সারারাত আমি শুধু কাঁদতাম
মা আমাকে বলতেন ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন
তুই মন খারাপ করিস না
তোরও ভালো জায়গায় বিয়ে দেব,
কিন্তু আমিতো তোমাকে ভুলতে পারিনি,
পারিনি আমি বিয়ে করতেও
তুমি ভালো থেকো, সুখে-শান্তিতে থেকো
এই কামনাই করি ঈশ্বরের কাছে।।