এইদিন ওয়েবডেস্ক,বোলপুর(বীরভূম),০৬ জুলাই : পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলায় ভাসুরসহ ৩ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে । এই নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বোলপুর থানার রজতপুর এলাকায় । পুলিশ ঘাতক বধূ স্মৃতি বিবি ও তার প্রেমিক পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক শেখ চন্দনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । সফিকুলের বাড়ি রজতপুরের পার্শ্ববর্তী সুপুর বানপাড়া এলাকায়।
জানা গেছে,পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে ৷ ওই দিন নিজের একতলা বাড়ির একটা ঘরে শুয়ে ঘুমচ্ছিলেন স্মৃতি বিবির ভাসুর শেখ আব্দুল আলিম (৪৫), এবং তার স্ত্রী রূপা বিবি (৩৭) ও তাদের ছোট ছেলে আয়ান শেখ (৪)। ঘরের জানালা খোলাই ছিল । সেই সুযোগে জানালা দিয়ে কেউ দাহ্য তরল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । তিনজনেই অগ্নিদগ্ধ হয় । তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন শেখ আব্দুল আলিমের বড় ছেলে শেখ ওয়াসিম আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন । আসেন প্রতিবেশীরাও । তারপর গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাদের স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু বর্ধমান নিয়ে যাবার পথেই প্রথমে মৃত্যু হয় শেখ আব্দুল আলিমের শিশুপুত্র আয়ানের । তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রূপা বিবি । আব্দুল আলিমের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল । কিন্তু আজ শনিবার সকালে তারও মৃত্যু হয় ।
জানা গেছে,প্রথমদিকে ঘটনাটি রাজনৈতিক বলে সন্দেহ হলেও পরে প্রকাশ্যে আসে হাতুড়ে চিকিৎসক শেখ চন্দনের সঙ্গে শেখ আব্দুল আলিমের ভাই রতন শেখের স্ত্রী স্মৃতি বিবির পরকীয়া সম্পর্কের কথা । পুলিশ জানতে পেরেছে যে সুপুর বানপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাতুড়ে চিকিৎসক শেখ সফিকুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কে চলছিল স্মৃতি বিবির । বিষয়টি কোনো ভাবে জানতে পেরে যান শেখ আব্দুল আলিম । তিনি তার ভাই রতন শেখকে তার স্ত্রীর কুকর্মের কথা জানিয়ে দেয় । সেই আক্রোশেই স্মৃতি বিবি তার ভাসুর ও তার গোটা পরিবারকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করে । মৃতের বড় ছেলে শেখ ওয়াসিম আক্তার তার কাকিমা ও কাকিমার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন ।।