এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৬ জুন : নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি কূটনীতিকের বাড়িতে কর্মরত এক ভারতীয় বিধবা মহিলাকে শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পাকিস্তানের বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সী মিনহাজ হুসেন । নির্যাতিতার অভিযোগে ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে দিল্লির তিলক মার্গ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । মহিলার অভিযোগ, তিনি পাকিস্তান হাইকমিশনের ইনচার্জ সাদ আহমেদ ওয়ারাইচের কাছে মিনহাজ হোসেনের অপকর্মের অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । উলটে বকরিদের অজুহাতে মিনহাজকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়। এরপর মিনহাজ আবার ভারতে ফিরে কূটনীতিক হিসেবে কাজ শুরু করে ।
সাদ আহমেদ ওয়ারাইচের বাড়িতেই এই ঘটনা ঘটেছে । মিনহাজ হোসেন তার সরকারি বাসভবনে রান্নার কাজ করতেন। নির্যাতিতাও এখানে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। তারা দুজনেই নয়াদিল্লির তিলক মার্গে ওয়ারাইচের সরকারি বাসভবনের ভৃত্য কোয়ার্টারে থাকতেন বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে আসেন মিনহাজ হোসেন। এরপর থেকে সে মহিলার বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। তাকে কুপ্রস্তাব দিত । অশ্লীল কাজ করতো। নির্যাতিতা ওয়ারাইচকে বিষয়টি জানালে তিনি মিনহাজ হোসেন গোপনে বকরিদের অজুহাতে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন। এর পর পাকিস্তানি হাইকমিশনার মহিলাকে ডেকে ৩০ জুনের মধ্যে চাকরি ও ওয়ারাইচের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এদিকে মিনহাজ পাকিস্তান থেকে ফিরে ভাইরাইচের বাড়িতে ফের কাজ শুরু করে । মহিলা তার চাকরি হারানো এবং তার সাথে যে আচরণ করা হয়েছিল তাতে খুব বিরক্ত ছিলেন। এরপর ২৮ জুন তিলক মার্গ থানায় গিয়ে মিনহাজ হোসেনের অশালীন আচরণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে, দিল্লি পুলিশ মিনহাজ আহমেদ হুসেনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে, যিনি সরকারী পাসপোর্ট এবং ভিসায় ভারতে অবস্থান করছিলেন। এফআইআর দায়ের হতেই চালাকি করে পারিবারিক সমস্যার কারন দেখিয়ে মিনহাজ হুসেনকে ৩০ জুন পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷। পুরো ঘটনায় পাকিস্তান হাইকমিশন এবং সাদ আহমেদ ওয়ারাইচের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।।