এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসরায়েল,০২ জুলাই : খান ইউনিসকে ফিলিস্তিনি শূন্য করল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী । ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বারবার সতর্কতার পর এলাকার পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় চলে গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লাউডস্পিকারের মাধ্যমে এলাকা খালি করতে বলে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ঘোষণায় এলাকাটিকে “বিপজ্জনক সংঘর্ষের” এলাকা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের এলাকাটি অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে । সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই অড্রাই বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা যদি নিজেদের মঙ্গল চায় তাহলে অবিলম্বে খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো সরে অন্য কোথাও চলে যান ।’ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী আল-মাওয়াসিতে চলে যেতে শুরু করে।
উল্লেখ্য যে, আল-মাওয়াসি খান ইউনিস এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্থানান্তরের জন্য ইতিমধ্যে নিরাপদ ঘোষণা করেছে এমন এলাকাগুলির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে রাফাহের একটি এলাক ।এলাকাটি রাফাহ শহরের পশ্চিমে জনবসতিহীন খোলা জমি নিয়ে গঠিত। এলাকায় অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ইন্টারনেটের মতো কোনো সুবিধা নেই। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুরা খাদ্য, জল, স্বাস্থ্যএ মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তার অভাবে এলাকায় চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। খান ইউনিসে বসবাসকারী হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে এলাকা থেকে উচ্ছেদের জন্য ইসরায়েলের নির্দেশের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ইসরায়েলের দাবি,সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে আচমকা হামলা চালাচ্ছে । হামাসের প্রতি দুর্বল ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ।।