এইদিন ওয়েবডেস্ক,মিন্ডেন(জার্মানি),০১ জুলাই : গলায় ‘ক্রুশ’ পরার অপরাধে গ্রীক যুবককে পিটিয়ে খুন করল জার্মানির মুসলিম অভিবাসীরা । জার্মানির মিন্ডেনে একদল মুসলিম যুবক ফিলিপোস সানিস(২০) নামে ওই যুবককে নির্মমভাবে মাথা থেঁতলে খুন করে । গ্র্যাজুয়েশন উদযাপনের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে তার উপর হামলা হয় । এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ৷ নিহতের বাবা জার্মান মেগা নিউজকে বলেছেন,’তারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে । ১০ জন মিলে সবাই তার মাথায় লাথি মেরেছিল ।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য বর্ণনা করে জানিয়েছেন যে সানিস জ্ঞান হারানোর পরেও, একজন আততায়ী তার মাথা এবং শরীরে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকে। মাথায় গুরুতর আঘাতের সাথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সানিসকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল কিন্তু গত সোমবার তার আঘাতে দুঃখজনকভাবে মৃত্যু হয় । নিহত সানিসের মা, আলফা নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে তার গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন,’চিকিৎসকরা আমাদের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। সবাই তার সুস্থ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, ঈশ্বরের অন্য পরিকল্পনা ছিল ।’ তার অভিযোগ, ছেলের গলায় একটা ক্রুশ ছিল । আর সেই অপরাধেই ছেলেকে প্রাণ হারাতে হয়েছে ।
জার্মান সংবাদপত্র বিআইএলডি এবং ফোকাসের প্রতিবেদন অনুসারে, হেফাজতে একজন ১৮ বছর বয়সী সিরিয়ান নাগরিক যে ব্যাড ওয়েনহাউসেনের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে সে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধে মামলা চলছে ।
বিলেফেল্ডের পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস বর্তমানে হত্যাকাণ্ডের মামলাটি তদন্ত করছে। তবে শুধু ওই গ্রীক যুবককে হত্যাই নয়, আক্রমণকারীরা হামলার দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করে এবং গর্ব করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে । জানা গেছে,বাকি ঘাতকরা দক্ষিণ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত পুরুষ,যারা আনুমানিক ১৯-২০ বছর বয়সী, কেউ কেউ অ্যাডিডাস ট্র্যাকসুট পরেছিল । ফিলিপোস সানিসকে বাঁচাতে গিয়ে তার এক সঙ্গী গুরুতর আহত হয়েছেন । বর্তমানে ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।।