এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জুন : কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা হোসেনারা বেগম নামে এক মহিলার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে । আক্রান্ত মহিলা বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা সহ-সভাপতি । একজন মুসলিম হয়েও তিনি বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের মহিলা গুন্ডাবাহিনী তাকে ঘিরে ধরে প্রথমে ব্যাপক মারধর করে, তারপর তার শাড়ি খুলে নদীর জলে ফেলে দিয়ে মাথার চুল ধরে প্রায় এক কিলোমিটার পথ টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ।
এদিকে এলাকার ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র স্বচক্ষে দেখার জন্য জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানকে কোচবিহারের রাঙ্গামাটি গ্রামে একটি দল পাঠানোর আবেদন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী একটি চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন, আমি আপবার কাছে অনুরোধ করছি যে দয়া করে ওই গ্রামে আপনাদের একটি তদন্তকারী দল পাঠিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখুন ।’ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় নেত্রীর ভিডিও ফুটেজও সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানকে পাঠিয়েছেন বলে জানান ।
শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন,’পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য, বিশেষ করে বিজেপির কর্মীদের জন্য কোনও ছাড় নেই, এমনকি যদি এই জাতীয় কর্মকর্তা একজন মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও হন । বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সহ-সভাপতি কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত রাঙ্গামাটি গ্রামের হোসেনারা বেগমকে ২৫ শে জুন টিএমসি গুন্ডারা নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল। তাকে জোরপূর্বক পোশাক খুলে দেওয়া হয়েছিল, শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল এবং নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়েছিল। তার একমাত্র অপরাধ হল তিনি বিজেপির সাথে যুক্ত এবং সম্প্রতি সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের সময় ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন।তিনি বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জখমের জন্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আমি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন, ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিজ-এর চেয়ারপার্সনদের কাছে ইমেল পাঠিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গে একজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা নিশ্চিত করার জন্য কোচবিহার জেলায় একটি দল পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছি ।’।