প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৮ জুন : এ যেন চুড়ান্ত রহস্যে ভরা এক মৃত্যু কাণ্ড। হাত বাঁধা,মুখে গোঁজা ওড়না,এমন অবস্থায় জলাশয় থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ থাকা এক ছাত্রীর মৃতদেহ। যা নিয়ে শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় । নবম শ্রেণীতে পাঠরতা ছাত্রী নার্গিস খাতুনের এমন মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছে,পুকুর থেকে ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । কালনা থানার পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের পরিবার যদিও দাবি করেছে,নার্গিসকে শ্বাসরোধ করে খুন করা জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জন্যে তারা এক যুবকের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ছাত্রী নার্গিস খাতুনের বাড়ি কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুপসা এলাকায়।বছর ষোল বয়সী নার্গিস সেখানকার খরিনান হাই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তো । নার্গিসের বাবা বশির মণ্ডল বলেন,’বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নার্গিস বাড়ি থেকে বের হয় । তার পর থেকেই সে নিখোঁজ থাকে । বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও নার্গিসের হদিশ মেলে না । তাই ওইদিন রাতে তাঁরা কালনা থানায় গিয়ে নার্গিসের নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত ডায়েরি করি৷’
ছাত্রীর আত্মীয় লোকমান মণ্ডল আজ শুক্রবার বলেন,আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কালনার ধর্মডাঙ্গা এলাকার একটি পুকুর থেকে সকালে নার্গিসের মৃতদেহ উদ্ধার হয় । মৃতের পরিবার পরিজনেরা জানান, একটি ছেলের প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক ছিল । সেই নার্গিসকে ফোন করে বৃহস্পতিবার ডেকে নেয় । পরিবারের আশঙ্কা,ওই যুবকই নার্গিসের হাত বেঁধে দিয়ে ও মুখে ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে । এদিনই ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় । ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় ,কে গ্রেপ্তার হয় , সে দিকেই এখন তাকিয়ে ছাত্রীর পরিবার ।।