এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,২৭ জুন : ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি বড় অভিযোগ করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও একবার বাড়তে পারে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২৩ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা রিপোর্ট ভারত সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছিল । প্রতিবেদনে ধর্মান্তর আইন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংস করার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপর সহিংস হামলার কথা উল্লেখ করেছে। বিশ্বজুড়ে ইহুদি ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে বলেছেন, গাজা যুদ্ধের কারণে আমেরিকায় ইহুদি বিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ার মতো চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। ভারতে আমরা ধর্মান্তর বিরোধী আইন, অশ্লীল ভাষা, বাড়িঘর এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ধ্বংসের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি দেখেছি। তবে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস এখন পর্যন্ত এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাশাদ হুসেনও ভারতীয় পুলিশের সমালোচনা করলেও, তিনি বলেছিলেন যে ভারতের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা বলেছে যে স্থানীয় পুলিশ ধর্মান্তরিত কার্যকলাপের অভিযোগ এনে উপাসনালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। জনতা তাদের উপর হামলা চালায় এবং পুলিশ নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ধর্মান্তরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতদের। কয়েক দশক ধরে আমেরিকা ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার কথা বলে আসছে । রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী যিনি সম্প্রতি ক্ষমতায় তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছেন এবং ‘বিজেপি শাসনকালে এই ধরনের ঘটনা আমরা যে বৃদ্ধি দেখেছি তাতে আমরা হতবাক হয়েছি’ বলে মন্তব্য করে ।
কিন্তু বাস্তবতা অন্য কথা বলে । আমেরিকাসহ খ্রিস্টান দেশগুলো ভারতে খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচার প্রসারে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে । এজন্য বিপুল পরিমান অর্থায়নও করে তারা । খ্রিস্টান দেশগুলি তাদের এই ষড়যন্ত্রে অনেকাংশে সফলও । মেঘালয়,তামিলনাড়ু, কেরালার মত রাজ্যগুলিতে খ্রিস্টান ধর্মের দ্রুত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় । বিশেষ করে মেঘালয়ে আজ হিন্দুরা সংখ্যালঘু । এছাড়া জর্জ সোরসের মত মার্কিন শিল্পপতিরা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীত নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে পরাজিত করার জন্য বিপুল অর্থায়নের অভিযোগও উঠেছে সোরসের বিরুদ্ধে এখন আমেরিকার এই অপপ্রচারের ভারত কি জবাব দেয় সেটিই লক্ষ্যণীয় ।।