এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ জুন : পুকুরের জল থেকে উদ্ধার হয়েছিল শিশুপুত্রের দেহ । কিন্তু শিশুর বাবার সন্দেহ তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে । তিনি কবর থেকে ছেলের দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানান । অবশেষে কাটোয়া মহকুমা আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার শিশুর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । কেতুগ্রাম থানার কাঁদরা গ্রামের মোল্লাপাড়ার একটা পুকুরের জলে শনিবার বিকেলে জিসান শেখ (৮) নামে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । চিকিৎসকরা দেহটি ময়নাতদন্ত করানোর পরামর্শ দিলেও শিশুর মা রিম্পা বিবি রাজি হননি । রবিবার দেহ কবরস্থ করা হয় । কিন্তু শিশুর বাবা সরিফ শেখ সোমবার আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে দেহটি কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করানো হয় । তার দাবি,’আমার ছেলের দেহটি কবর দেওয়ার সময় তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেড়িয়ে আসছিল। এছাড়া কানের নিচে কালসিটে দাগ ছিল। তাই আমাদের সন্দেহ ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’
জানা গেছে,ঘটনার দিন কাঁদরা গ্রামের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক সরিফ শেখ ভিন রাজ্যে কর্মস্থলে ছিলেন । ওই দিন তার এক প্রতিবেশীর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল । তার স্ত্রী রিম্পা বিবি বিয়ে বাড়িতে ব্যস্ত ছিলেন । তাদের ছেলে জিসান শেখ পাড়ারই বছর দশেকের এক মুক ও বধির কিশোরের সঙ্গে বাড়ির কাছাকাছি একটি পুকুরের ধারে খেলা করছিল । কিন্তু দুপুর থেকে তার কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না । বিকেল নাগাদ তুফান শেখ নামে এক কিশোর বালক বাড়িতে এসে খবর দেয় ওই পুকুরের জলে জিসানের দেহ ভাসছে। লোকজন গিয়ে শিশুটিকে জল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় রামজীবনপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
জানা গেছে,জিসানের মৃত্যর পর ওই মুখ ও বধির নাবালক সরিফ শেখদের কাছে জানায় যে তারা যখন খেলা করছিল তখন অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তি সেখানে আসে । তারা জিসানকে মারধর করে । এরপর ঘটনার কথা পুলিশকে জানান সরিফ শেখ । পাশাপাশি কবর থেকে ছেলের দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানান তিনি । আদালতের নির্দেশে আজ শিশুর দেহটি কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । সেই সময় সেখানে প্রচুর লোকজন ভিড় জমায় ।।