এইদিন ওয়েবডেস্ক,উদলগুড়ি(আসাম),২৫ জুন : আসামের উদলগুড়ির এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫ মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে । রিপোর্ট অনুযায়ী, নাবালিকা মেয়েটি যখন তার বন্ধুর সাথে গল্পগুজব করছিল সেই সময় মুস্তাক আহমেদ, মহিদুল ইসলাম, হাফিজুল আলী, সাদ্দাম আলী এবং এহসান আহমেদ নামে পাঁচ মুসলিম যুবক তাকে সেখান থেকে তুলে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি পাশবিক নির্যাতন চালায় । রবিবার পরিবারের সদস্যরা এই ভয়াবহ ঘটনার বিষয়ে উদলগুড়ির মাজবাত থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ।
এদিকে ঘটনার পর এএএসএসএ,এএএসইউ, এএজিএসইউ, আসাম গোর্খা সন্মিলনী, এএবিওয়াইএসএফ এবং ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সহ বিভিন্ন সংগঠন তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং একটি বিশাল জনতা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাজবাত সার্কেল অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে । সোমবারও একটি উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাংচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়, যার পরে দমকলকর্মীরা আগুন নিভিয়ে দেয় এবং পুলিশ দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে, উদালগুড়ির পুলিশ সুপার পুশকিন জৈন বলেছেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়েছি এবং উদালগুড়ি এবং পার্শ্ববর্তী দাররাং জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে মাজবাত থানায় মামলা নথিভুক্ত করেছি। আমরা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করছি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্যাতিতার পরিবার এবং নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান এবং তথ্য সহ নাগরিকদের এগিয়ে এসে তদন্তে সহায়তা করার জন্য আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন যে নির্যাতিতার বর্তমানে চিকিৎসা চলছে এবং তাকে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি, চিকিৎসা এবং মানসিক সহায়তা দেওয়া হবে।।