জনতার বিশ্বাস লুটে
হয়ে গেলে রাতারাতি ভগবান আপনি তো কারিগর
ধর্মটা করতেই পারো স্বাধীনতা আপনার।
নিঃশ্বাসে আপনার বিষ — যোগাযোগ নিশ্চয়ই ছিল
ভালোই হলো অল্প দিনে—
প্রকাশ্যে এলো জনতার আদালতে বাহ্যিক রূপ।
বৃহত্তম মহৎ কাজেই যুক্ত হবেন স্যার
এই অসহায়ের প্রশ্নটা শোনেন—
যদি কখনো পড়ে চোখে উত্তরটা দেবেন স্যার
আপনার চরণ ধুলি নেব মাথায়-
কথা দিলাম স্যার, কথা দিলাম স্যার,,,
আপনিই তো ন্যায়ের অঙ্গীকারবদ্ধ।
স্বাধীনতার পরে বেঙ্গলী রেজিমেন্ট কোথায় গেল
ওরা তো সব পেল-স্বাধীনতার লড়াইয়ে বেঙ্গলী ছিল না
বাঙালির বুকে তলোয়ার কেন?
বেঙ্গলী রেজিমেন্ট কোথায় গেল স্যার নিশ্চুপ কেন?
পুলবামা ঊরি হলো কত মায়ের সিঁথির সিঁদুর গেল
কত সন্তান অনাথ হলো
স্যার আপনি তো বলেছিলেন দুর্বৃত্তের নিশ্চিহ্ন করবেন
বলুন স্যার কজন উগ্রবাদীর সাজা হলো
স্যার নিশ্চুপ কেন?
হাথরাসে দলিত বোনের ধর্ষণ হলো
মণিপুরে আমার মায়ের উলঙ্গ হয়ে ঘুরতে হলো
বলুন স্যার কতজনের সাজা হলো
স্যার এখনও নিশ্চুপ কেন?
স্যার আপনি তো বাঙালির মেরুদন্ড
রিজাওনুর গেল বগটুই হলো
আনিস তো আমার প্রিয় বন্ধু ছিল, বলুন স্যার
কতজনের সাজা হলো—
স্যার এখনও নিশ্চুপ কেন?
শিক্ষা চুরি চাকরি চুরি— চুরি আমফান
চুরি মাটি
আবাস যোজনার ঘর চুরি—
ডি এ যে দিলোই না—-
বলুন স্যার কজন চাকরি পেল,কজন জেলে গেল
দুর্বৃত্ত কি নিশ্চিহ্ন হলো
স্যার এখনও নিশ্চুপ কেন?
জয়নগরে কোলের শিশু দিলো জলে ফেলে
আগুনে ভস্মিভূত অসহায়ের ঘর গুলো
আরও দেখতে হলো সন্দেশখালির দামাল ছেলে হাতে
কোদালের বাঁট খেলো—
রাতের অন্ধকারেই মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে করলো খেলা
বলুন স্যার তাদের কি হলো
ফাঁসির সাজা হলো কি?
পার্বণের প্যান্ডেল সাজলে তারা তো কেউ ওখানে গেল
বলুন স্যার তাদের কি হলো
স্যার এখনও নিশ্চুপ কেন?
স্যার আপনি তো গণ্ডি পেরিয়ে জনতার আদালতে
বৃহত্তম মহৎ কাজে নিযুক্ত হয়েছেন নিশ্চয়ই
দাঁড়িপাল্লা হাতে নিশ্চয়ই আপনিই স্যার
বলুন বেঙ্গলী রেজিমেন্ট কোথায় গেল?
এখনও নিশ্চুপ কেন?
আপনি সময় দিয়েছেন অপেক্ষা আমার
দুর্বৃত্তের নিশ্চিহ্ন
অসহায়ের প্রশ্নগুলো বিচার পাবে তো!
আপনিই তো ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ
প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি—বিচার পাবে তো
স্যার এখনও নিশ্চুপ কেন ?