এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাঞ্জাব,২৩ জুন : অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দির নামে পরিচিত শ্রী দরবার সাহেবের প্রাঙ্গণে যোগব্যায়াম করা এক মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি।অর্চনা মাকওয়ানা নামের এই মহিলা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, যিনি আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে স্বর্ণ মন্দিরে যোগাভ্যাসের ছবি পোস্ট করেছিলেন। শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি টুইট করে জানিয়েছে,’শিরোমণি কমিটি শ্রী দরবার সাহেবে যোগব্যায়াম করা মেয়েটির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে, অবহেলাকারী তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে অর্চনা মাকওয়ানাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় । ভাইরাল হওয়া ওই অডিও কলে বলতে শোনা গেছে,’তোমার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে, তোমাকে এমন আচরণ করার জন্য কে পাঠিয়েছিল ? তোর গুজরাটে বাড়ি না ? তোকে মোদি না অন্য কেউ পাঠিয়েছে ? এমন আচরণ করতে তোমার লজ্জা লাগেনি ? আমরা তোকে প্রাণে মারতেও পারি । তোকে প্রাণে মারা আমাদের কাছে তেমন সমস্যার কাজ নয় । এমন আচরণের জন্য তোর লজ্জিত হওয়া উচিত ।’ অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । যদিও অর্চনা মাকওয়ানা একটি ভিডিও বার্তায় ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন । তারপরেও তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । তবে অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ।
এদিকে স্বর্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার করে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে গুরুদ্বারে নামাজের অনুমতি থাকলেও যোগাভ্যাসে আপত্তি তোলা হচ্ছে কেন ? বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং গুরুদ্বারে নামাজ পড়ার ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,’শিরোমনি গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির মতে, আপনি গুরুদ্বারে নামাজ পড়তে পারেন কিন্তু গুরুদ্বারে যোগ অনুশীলন করতে পারবেন না।’
একই ভিডিও এবং আফগানিস্তান থেকে শিখদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে আসার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন,’সাহেবজাদেরকে দেওয়ালে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল । আফগানিস্তানে হাজার হাজার শিখকে হত্যা করা হয় । পাকিস্তানে তাদের পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট মৃত্যু দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও গুরুদ্বারে নামাজ হবে, যোগ নয়। আজ গুরু তেগ বাহাদুরের আত্মা হয়ত কাঁদছে এবং আপনাদের ধিক্কার জানাচ্ছেন কারন তিনি ভাবছেন এরা কারা যারা রাজনীতি এবং অর্থের লোভে এত নিচে নেমে গেছে? দেশপ্রেমিক শিখ ভাইদের কাছে এই মানুষরা আজও ভারতসহ গোটা বিশ্বের জন্য বিপদজনক । যদি এই লোকেরা পাগ এবং গুরুকে স্মরণ করত ।’
এর আগে চন্ডীগড় বিমান বন্দরে বলিউড অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মেরেছিল একজন পাঞ্জাবি মহিলা সেনাকর্মী । কৃষক আন্দোলনের সময় কঙ্গনার একটা আচরণের জেরে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে সাফাই দেওয়া হয় । এই ঘটনায় তাকে সাসপেন্ড করা হলেও পাঞ্জাবে ওই মহিলা সেনাকর্মীর সমর্থনে মিছিল পর্যন্ত বের হয় । ক্ষিপ্ত অভিনেত্রী সংবাদ মাধ্যমকে তখন বলেছিলেন যে পাঞ্জাবে উগ্রপন্থা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে ।।