এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলী,২২ জুন : কোভিড পরিস্থিতির কারনে কাঁচামালের আমদানি ও উৎপাদিত দ্রব্যের রপ্তানিতে সমস্যার কারন দেখিয়ে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’ এর নোটিশ ঝুলিয়ে দিল হুগলী জেলার কুন্তিঘাট কেশোরাম রেয়ন কারখানা কর্তৃপক্ষ । আচমকা কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় চার হাজার কর্মী কাজ হারালেন । তার ফলে অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কারখানার কর্মীরা । যদিও বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী জানিয়েছেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান সুত্র বের করার চেষ্টা চলছে ।
জানা গেছে,হুগলীর জেলার বলাগড় বিধানসভা এলাকার কুন্তিঘাটে রয়েছে কেশোরাম রেয়ন সিগনেট ইন্ডাস্টি লিমিটেড কারখানাটি । কারখানায় রেয়নের সুতো, সোডা, কাগজ,বাই প্রোডাক্ট অ্যাসিড প্রস্তুত করা হয় । স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কর্মী রয়েছেন কারখানায় । এদিন সকালে মর্নিং শিফটে কাজ করতে আশা শ্রমিকরা দেখতে পান গেটে তালা ঝুলতে । গেটের উপরে সাঁটানো রয়েছে ‘সাসপেনশন ও ওয়ার্কের’ নোটিশ । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । এই খবর কানে যেতেই সব শ্রমিকরা কারাখানার গেটের সামনে এসে জড়ো হন । এদিকে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী টোটো চালিয়ে কারখানার সামনে চলে আসেন । আসে মগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
বিধায়ককে পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কারখানার কর্মীরা । কর্মীদের অভিযোগ,এপ্রিলে অর্ধেক বেতন দেওয়া হয়েছিল । তারপর থেকে বেতন বন্ধ । এই অবস্থায় বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে কয়েক হাজার পরিবারকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চরম বিপাকে ফেলে দিল কারখানা কর্তৃপক্ষ ।
বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা । কারখানার ৫ টি শ্রমিক সংগঠনের কার্যকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলাম । ওনারা আগামী কাল সকাল ৯ টায় সময় দিয়েছেন । ইউনিয়নের কার্যকর্তা, আমি ও স্থানীয় দলীয় নেতৃত্ব থেকে কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো । আশা করছি একটা সমাধানসূত্র বের হবে ।’।