এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,২৩ জুন : পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর ব্লকের কাঁকসায় গ্রেফতার হয়েছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক জঙ্গি । জানা গেছে, মহম্মদ হাবিবুল্লা নামে ওই সন্ত্রাসবাদীকে কাঁকসা থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মীরেপাড়া এলাকায় তার বাড়ি থেকেই শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) । গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ‘শাহাদত’ মডিউলের প্রধান বা আমীর হিসাবে কাজ করছিল হাবিবুল্লা । ওই সন্ত্রাসবাদী বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হবিবুল্লাহ ভাই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তাকেও আটক করেছে এসটিএফ। হবিবুল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে । ধৃতের বিরুদ্ধে কাঁকসা থানায় বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে । বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকা থেকেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
প্রসঙ্গত,আনসার আল-ইসলাম হল একটি কুর্দি ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন । কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা-র সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে আনসার আল-ইসলামের । বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা ও উগ্র ইসলামি মতবাদ প্রচারের অভিযোগে সংগঠনটিকে ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ করে দেয় শেখ হাসিনা সরকার । এর আগে এই সংগঠনটি আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক এবং সমকামী ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে তারা । তারা নিজেদের আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ বলে দাবী করে ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর,আনসার আল ইসলামের ‘শাহাদত’ মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে জানতে পারে গোয়েন্দারা । মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটিক মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথাবার্তা বলত । হবিবুল্লাহ ছাড়াও তার কিশোর ভাই, বাবা মহম্মদ ইসমাইল মুন্না এবং পরিবারের লোকজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা । পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকা থেকেও কয়েকজনকে আটক করে কাঁকসা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । এসটিএফ জানতে পেরেছে যে তারা সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিতে যাচ্ছিল । তাদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ।।