আজিজুর রহমান,গলসি(পূর্ব বর্ধমান),২২ শে জুন : ছোট বেলাতেই বাবা মারা গেছেন । ভিন রাজ্যে কর্মরত দাদার কাছে মা থাকেন । বাড়িতে একাই থাকতেন যুবক । দীর্ঘদিন ধরে একা থাকতে থাকতে ক্রমশ মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল বছর উনিশের ওই যুবককে । শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তিনি । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি থানার খানো গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রাহুল দত্ত । মঙ্গলবার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বর্ধমানে পাঠানো হয় । এই ঘটনার পিছনে একাকীত্বের পাশাপাশি প্রেম ঘটিত কারনও থাকতে পারে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,খানো গ্রামের দত্ত পাড়ায় বাড়ি রাহুল দত্তর । তিনি গাড়িতে খালাসির কাজ করতেন । রাহুলের দাদা কর্মসুত্রে মহারাষ্টের পুনেতে থাকেন । তাঁদের বিধবা মা সেখানেই থাকেন । এদিকে বাড়িতে একাই থাকতেন রাহুল । বাড়িতে থাকার সময় কখনও নিজে রান্না করতেন কখনও হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতেন ।
স্থানীয়রা জানান,গাড়িতে ডিউটি করার পর রবিবার রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন রাহুল । ডিউটি না থাকলে বেশিরভাগ সময় তাঁকে গ্রামের মোড়ে থাকতে দেখা যেত । কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেও বিগত দু’দিন ধরে রাহুলকে বাড়ির বাইরে বেরুতে না দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের । এদিন সকালে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন রাহুলের ঘরের দরজ বন্ধ । তখন তাঁরা ডাকাডাকি করেন । কিন্তু অনেকক্ষন ধরে ডাকডাকি করেও তাঁর কোনও সাড়া না পেয়ে গলসি থানায় খবর দেওয়া হয় । শেষে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় । এরপর পুলিশ মৃতের মা ও দাদাকে খবর দেয় । মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।।