এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,১৮ জুন : ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার সকালে দক্ষিণ লেবাননে একটি ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের একজন সিনিয়র সদস্যকে খতম করেছে । লেবাননের টায়ার জেলার সালা গ্রামে হামলায় মুহাম্মাদ আইয়ুব নামে হিজবুল্লাহর ওই সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স । ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই মুহাম্মাদ আইয়ুবের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে ।
আইডিএফ অনুসারে আইয়ুব হিজবুল্লাহর নাসর আঞ্চলিক বিভাগের রকেট ইউনিটে কাজ করেছিল এবং সে সম্প্রতি অন্যান্য হামলার পরিকল্পনা করার পাশাপাশি ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি রকেট হামলার পিছনে ছিল । নাসর ইউনিটের কমান্ডার তালেব আবদুল্লাহ গত সপ্তাহে হামলায় খতম হয় । ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার সকালে মুহাম্মাদ আইয়ুবকে একটি ড্রোন হামলায় খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিগত তিন দিন ধরে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর লাগাতার আক্রমণের মধ্যে এই স্ট্রাইকটি প্রকাশ্যে এসেছে । শেষবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি উত্তর ইস্রায়েলের একটি সামরিক অবস্থানে ড্রোন হামলার মাধ্যমে গুলি চালানোর দাবি করেছিল গত শনিবার বিকেলে । শনিবার লেবানন থেকে উৎক্ষেপণ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর মাউন্ট মেরন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটিতে আঘাত হানে। আইডিএফ বলেছে যে হামলায় কোন হতাহত বা ইউনিটের ক্ষমতার কোন ক্ষতি হয়নি ।
লেবানন সীমান্তে এযাবৎ সংঘর্ষের ফলে ইসরায়েলি পক্ষের ১০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, সেইসাথে ১৫ আইডিএফ সৈন্য এবং সংরক্ষকদের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়া থেকেও বেশ কিছু হামলা হয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি। অন্যদিক্স হিজবুল্লাহ ৩৪৩ সদস্যের নাম দিয়েছে যারা চলমান সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলের হাতে খতম হয়েছে, বেশিরভাগই লেবাননে তবে কিছু সিরিয়াতেও। লেবাননে, অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আরও ৬৩ জন সদস্য, একজন লেবাননের সৈন্য এবং কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
এছাড়াও সোমবার, প্রান্তিক, অতি-ডানপন্থী ইসরায়েলিদের একটি দল উত্তর সীমান্ত উত্তেজনার সমাধান হিসাবে দক্ষিণ লেবাননের এলাকা দখলের ধারণার পক্ষে একটি অনলাইন সম্মেলন করেছে।
কনফারেন্সটি ইউটিউবে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল, অংশগ্রহণকারীদের দেখার অনুমতি দিয়েছিল । কয়েকশত লোক সম্মেলনটি দেখেছিল এবং প্রায় ৮০০ জন ইভেন্টের প্রস্তুতির জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন কৌতূহলী সাংবাদিক ছিলেন। বক্তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নেতানিয়াহুর শ্যালক হাগি বেন আর্টিজি।
উপস্থাপনার প্রথম অংশটি লেবাননের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, উল্লেখ করে যে কীভাবে এটি একটি বড় সংখ্যক সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কারণে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে লেবানন ।
অন্য একজন কর্মী তথা বাইবেল এবং হিব্রু ভাষাতত্ত্ব গবেষক অধ্যাপক ইয়োয়েল এলিটজুর ব্যাখ্যা করেছেন যে ইহুদিদের গ্যালিলের উত্তর অংশে অর্থাৎ দক্ষিণ লেবাননে বসতি স্থাপন করা ছাড়া হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার আর কোন উপায় নেই। তিনি এই ধরনের একটি কাজের প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ হিসাবে বাইবেলের শিলালিপির উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন,’আমাদের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে ঈশ্বরকে তার উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করার সঠিক উপায় কী ।’।