রাতের গাঢ় আঁধারে কেউ যেন অশ্রুসিক্ত নয়নে
কান্নাস্বরে চিৎকার করছে,
আমাকে বাঁচাও,আমাকে বাঁচাও
এই সভ্য সমাজের বর্বর, নরপিশাচের হাত থেকে।
তাঁর হৃদয়বিদীর্ণ যন্ত্রণার আর্তনাদ ভেদ করছে না কারও কর্ণদ্বয়ে,
সবাই যেন শয়ন শয্যায় নিদ্রামগ্ন নির্ভয়ে।
অবলুণ্ঠন, অত্যাচার বেড়েই যায়।
কেটে যায় দিবস, রজনী।
মাতৃভূমি থেকে নিঃশেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা
আজ বিপদে, আশ্রয়হারা হাজারো আদিবাসী,
অগনিত নানান প্রাণী, প্রজাতি।
রাত্রি নির্জনতায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকটা বৃক্ষ
ভোরের আলো আসার অপেক্ষায় চেয়ে থাকে।
হয়তো ভাবে দিনের আলোয় সে বাঁচবে,
ছিন্নভিন্ন হবে না তার দেহ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে,
অথচ দিনশেষে ব্যর্থ হয়ে পতিত সে মাটির বুকে।
কিন্তু তাতে কি আর কার যায় আসে!
উথলে যে উঠছে জোয়ার উন্নয়নে।
বিত্তশালী শিল্পপতিগণ দেশ চালাচ্ছেন যারা তাদের হাতের দখলেই তো ক্ষমতা,
আমরা কারা! আমরা তো নিছক-ই আম জনতা।
আদানির হাত ধরে না হয়
আরও একধাপ এগোবে উন্নয়ন, হবে কয়লাখনি,
যাক না চুলোয় বাসস্থান, নেই পরোয়া অবলা প্রাণী।
পৃথিবী আজ জর্জরিত মহা অসুখে
বাড়ছে তাপপ্রবাহ, চড়ছে পারদ, গলছে বরফ….
যদিও ভোগ করছি আমরা উন্নয়নের ফসলের ফল,
কঠিন থেকে কঠিনতম রোগ, নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য নেই বিশুদ্ধ বাতাস, নেই বিশুদ্ধ পানীয় জল।
তবুও মানুষ ভাবে আছি দিব্যি সুখে
খেয়াল নেই এগিয়ে চলেছে কোন পথের অভিমুখে।
আজও আছে সময় ‘হাসদেও আরন্দ’ বাঁচাও
সুস্থ পরিবেশ যদি চাও শুধরে নাও নিজেকে
এনো না নিজের বিনাশ নিজে ডেকে।
ধ্বংস করো না আর সবুজে সমারোহ অরণ্য।
শুনতে কি পাচ্ছো তুমি! “হাসদেও-র ক্রন্দন ?