এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২০ জুন : বীরভূম জেলার ইলামবাজার ও পাড়ুই থানা এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে শালনদী । নদীর উপরে থাকা একটি সেতু দুই থানা এলাকার একাধিক গ্রামের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম । কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে শালনদীর জলস্তর প্রচুর বেড়ে গেছে । এদিকে জলের তোড়ে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুই থানা এলাকার গ্রামগুলির মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুটিকে বিপজ্জনক ঘোষনা করে জনসাধারণকে পারাপার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণ হাতে করে ওই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসীরা ।
জানা গেছে, শালনদীর একপ্রান্তে পাড়ুই থানা এলাকার হাসড়া, মাকড়া, মঙলডিহী, কাবিলপুর ইমাদপুর প্রভৃতি গ্রামগুলি রয়েছে । অপর দিকে রয়েছে ইলামবাজার থানার কয়রা ,তালিবপুর গোলটিয়া, কসবা ,সুলতানপুর প্রভৃতি গ্রাম । গোলটে পঞ্চায়েতের গোলটে গ্রামের কাছে শালনদীর উপর একটি সেতু রয়েছে । দুই থানা এলাকার গ্রামগুলির মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ওই সেতুটি । কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে বর্ষার টানা বৃষ্টিপাত ও তার জেরে ব্যারেজগুলি থেকে জল ছাড়ার কারনে নদীর জলস্তর প্রচুর বেড়ে গেছে । সেতুর উপর দিয়ে বইছে শালনদীর জল । ফলে একটু একটু করে ভেঙে গেছে সেতুর একাংশ । বর্তমানে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে সেতুটি ।
রবিবার দেখা গেল সেতুর দু’প্রান্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বসে রয়েছেন । তাঁরা টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল, সাইকেলসহ ট্রান্সপোর্টে আসা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পারাপার করে দিচ্ছেন । অনেককে ভাঙা সেতুর উপর দিয়েই বাইক,সাইকেল এমনকি পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে দেখা গেল এদিন । স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইস্তাক বলেন, ‘ইলামবাজার ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার সেতুটি সার্ভে করা হয়েছিল । কিন্তু ওই পর্যন্তই । সেতুর ভগ্নদশা আজও পরিবর্তন হয়নি । এখন প্রশাসনের কবে টনক নড়ে সেদিকেই আমরা তাকিয়ে আছি ।’যদিও প্রশাসন সুত্রে খবর, সেতুটির সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে ।।