প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ জুন : দামোদরে জল বাড়তেই ধস নামলো সড়ক পথে । পূর্ব বর্ধমানের পলেমপুর-জামালপুর সড়কপথে জাকতা এলাকায় সড়ক পথে ধস নামায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। ধসে রাস্তার দুই প্রান্ত ভেঙে গেলে দামোদরের জল ঢুকে এলাকার তিন চারটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা।তারা চাইছেন দ্রুত ধস মেরামতির
ব্যবস্থা করুক প্রশাসন ।
পলেমপুর থেকে জামালপুরের কালাড়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ কোলোমিটার । এই সড়ক পথের একটা বেশীরভাগ অংশ গিয়েছে দামোদরের বাঁধের উপর দিয়ে । যাত্রী পরিবহনের জন্যে এই সড়কপথে যাতায়াত করে মিনিবাস ও ট্রেকার ।এছাড়াও সরা বছরই বালি বোঝাই প্রচুর লরি ও ডাম্পার এই সড়কপথে চলাচল করে।অহরহ ভারী যনবাহন যাতায়াতের কারণে দামোদর লাগোয়া এই সড়ক পথে হিজলনা অঞ্চল এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা তৈরি হয়েইছিল । তারই মধ্যে কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি ও ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কারণে শনিবার দামোদর লাগোয়া হিজলনা অঞ্চলের জাকতা এলাকায় সড়পথের একাংশে নেমেছে বড়সড় ধস । ওই ধস পৌছেচে ভরা দামোদরের প্রায় কোল পর্যন্ত। আর তা দেখেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দা মহলে।
এলাকার টোটো চালক বাবু দাস বলেন ,তিনি পলেমপুর -হিজলনা রুটেই ট্রেকার চালান।তাঁর দাবি, ‘এই সড়কপথের একটা বড় অংশে অনেকদিন আগে থেকেই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে । চলতি বর্ষায় দামোদরের জল বাড়তেই হিজলনার জাকতা এলাকায় সড়ক পথের একাংশ নিয়ে বড় ধস নেমেছে । ধস দামোদরের প্রায় কোল পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে। গত বছরও একই জায়গায় ধস নেমেছিল।সেবায় মেরামতি ভালো ভাবে না হওয়ায় একই জায়গায় এই বর্ষাতেও ধস নামলো ।’ দ্রুত ধস মেরামতি না হলে জাকতায় সড়কপথের সবটাই ধসের কবলে চলে যাবে বলে টোটো চালক বাবু দাস আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । অপর বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ বলেন, ‘জাকতায় রাস্তার দুই প্রান্ত ধসের কবলে পড়ে গেলে দমোদরের জল ঢুকে স্থানীয় জাকতা , বাঁদগাছা , হোরপুর ,নতুনগ্রাম জলে ডুবে যাবে । তাই আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ধস মেরামতির ব্যবস্থা করুক ।’
রায়না ১ ব্লকের বিডিও লোকনাথ সরকার জানান, রাস্তার একাংশে ধস নেমেছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন ।স্থানীর পঞ্চায়েত কে তিনি ধস মেরামতির কাজ দ্রত শুরু করার জন্যে বলেছেন । পরিস্থিতি নিয়ে তিনিও খোঁজ খবর রাখছেন বলে বিডিও জানিয়েছেন ।।