এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৯ জুন : গ্রামের তিন দিক ঘিরে রেখেছে ভাগীরথী ও বাবলা নদী । একদিকে রয়েছে বাঁধ । ওই বাঁধটি মূলত গ্রামের একমাত্র স্থলপথ । কিন্তু লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত ও জলধারগুলি থেকে জল ছাড়ার কারনে ফুঁসছে ভাগীরথী ও বাবলা নদী । এদিকে শনিবার দুই নদীর জলের চাপে ভেঙে গেল কেতুগ্রাম-২ ব্লকের নতুনগ্রামবাসীদের যাতায়তের একমাত্র রাস্তা ওই বাঁধটি । ফলে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কার্যত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিনত হয়েছে নতুনগ্রাম ।
কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা বলেন, ‘জরুরিকালীন ভিত্তিতে ওই নদীবাঁধটি মেরামতির জন্য বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে । সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে । পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি ।’
মউগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নতুনগ্রামে প্রায় তিন হাজারের অধিক মানুষের বসবাস । গ্রামের দক্ষিন-পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী । পশ্চিম দিকে বাবলা নদী । উত্তর দিকে দুই নদীর মাঝে রয়েছে একটি বাঁধ । ওটাই গ্রামের একমাত্র স্থলপথ । ওই বাঁধ দিয়েই পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলা এলাকায় হাটবাজারে যাতায়াত করে থাকেন নতুনগ্রামবাসীরা । গত বছরেই সেচ দপ্তর থেকে নদী বাঁধটি প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সংস্কার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ।
জানা গেছে,কয়েকদিন ধরেই দুই নদী মিলে বাঁধটিকে একটু একটু করে গ্রাস করছিল । শেষে এদিন ভোরে বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়ে ভাগীরথী ও বাবলা নদী এক হয়ে গেছে । ফলে জলবন্দি হয়ে গেছে গোটা গ্রাম । এখন প্রাণ হাতে করে ভরা নদী দিয়ে নৌকায় যাতায়ত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের ।
কেতুগ্রাম-২ ব্লকের মউগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিপাসা মালিক বলেন, ‘সমগ্র পরিস্থিতির কথা প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে । পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে ।’।