পড়ন্ত বিকেলে গোধূলি বেলায় মন চুরি করে হৃদয় আকুল
ছোট্ট শিশুর বায়না ভারী মিষ্টি পরী তুমি না জানি কে?
চেয়ে দেখি দূরে ঐ উদাস হাওয়া এলোমেলো ঢেউয়ের খেলা
সিঁদুর রাঙিয়ে বিদায় নেয় বছরের আরও একটি দিন যে।
প্রকৃতি সাজায় নব নব সাজে সজ্জিত তুমি নিত্য দিনে
যেন কেউ নববধূবেশে পাল্কিতে চলেছে অজানা দেশে,
কত শত নামে ডাকি তবু দেখো না ফিরে একটি বার
শুধু নিত্য নতুন দিনে আসো ফিরে অচেনা অতিথি বেশে।
কতো ফাগুন বসন্ত এসেছে গেছে তবুও তুমি দাওনি ধরা
কতো প্রেমিক প্রেমিকার হৃদয়ের জঠর চিরে করেছো তুমি ফালাফালা,
না জানি কোথায় যাও চলে নিত্য তুমি দিনের শেষে
গোধূলি তোমার আঙিনায় বসে গাঁথছি শুধু বিনি সুতোর মালা।
নিত্য নতুন যন্ত্রনা মেটাতে ডুব দি গোধূলি বেলায় এসে
সুখ-দুঃখ আশা নিরাশা হৃদয়ের বন্ধন পরিবার থেকে,
ভালো মন্দ মিলেই জীবন তবুও প্রত্যাশায় ছুটে চলে মন
নীরব মিছিলের পিছু ধায় শুধু নামহীন অজ্ঞাতনামা সূত্র কিছু থাকে।
কতো নতুন শব্দের ঝংকার বাজে লেখা হয় সৃষ্টির বুকে
জড়িয়ে আঁচল তপ্ত দহন জীবন্ত লাভা হয়ে ঝরে,
কতো কথাই আবার বুকের মাঝে নীরবে নিঃশব্দে একাকী কাঁদে
গোধূলি লগ্নে গাঁটছড়া বাঁধে আজও সুখী পরিবার গড়ে।
কবির কবিতা লেখকের উপন্যাস লিখিত হয়েছে গোধূলির আঙিনায়
সৃষ্টি শুধু থেকে যাবে জানি বাকী সবকিছুই ফাঁকা জায়গা,
নামগুলো শ্রুতিমধুর প্রতিশব্দ খুঁজবে চোখ স্মৃতির পাতায়
পুরনো ইতিহাস সাক্ষী আছে আজও চারিদিকে ছড়িয়ে ভাবনা।।