প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ জুন : রাজ্যে বৃষ্টিপাত বাড়তেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া । তার কারণে নদ নদী থেকে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।পাশাপাশি বালি তোলার জন্যে নদ নদীর বুকে যেসব অস্থায়ী সেতু বা রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল তা ৩০ জুনের মধ্যে ভেঙে সরিয়ে ফেলার জন্যে খাদানের ইজারাদারদের নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর।অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবায় বলেন, ‘নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২০০ টির মতো সরকার অনুমোদিত খাদান রয়েছে।করোনা অতিমারির কারণে গত বছরও রাজ্যে ’লকডাউন’ জারি করা হয় । সেই বছর লকডাউন ওঠার পরেই শুরু হয়ে যায় বর্ষা ।বন্ধ হয়েযায় নদ নদী থেকে বালি তোলা । তার ফলে বালির হাহাকার যেমন তৈরি হয় তেমনই রাজস্বও ধুঁকতে শুরু করে । এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ওই বছর নদ নদী থেকে বালি তোলার মেয়াদ ১০ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্যারাজে শুরু হয়ে গিয়েছে জল ছাড়া । তাই জেলা প্রশাসনও জারি করে দিয়েছে বালি তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা ।
জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্থা দপ্তর সূত্রে খবর করোনার কারণে এইবছর রাজ্যে বিধিনিষেধ চালু থাকায় গত দু’মাস জেলার খাদান গুলি বন্ধ থাকে। তাই বালিও বিক্রি হয়নি। ফলে বালি থেকে রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকে গিয়েছে । গত বছর পূর্ব বর্ধমানের বালি থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ কোটি টাকা। হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা। এ বছর এখনও পর্যন্ত জেলায় রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র কোটি টাকা ।
সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘বালি তোলার জন্যে ইজারাদাররা নদীর চড়ে রাস্তা কিংবা নদীর বুকে অস্থায়ী সেতু করার জন্যে অনুমতি নিয়ে থাকেন। বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় নদী গর্ভে থাকা পরিকাঠামো ৩০ জুনের মধ্যে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা সব ইজারাদার নির্দেশ অমান্য করবেন তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে ।’।