এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ মে : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ) কার্যকর করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন । মমতার এই বিরোধিতার মাঝেই কেন্দ্র সরকার সিএএ-এর অধীনে বাংলায় নাগরিকত্ব শংসাপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সিএএ-এর অধীনে, বাংলা প্রথম পর্যায়ে যারা আবেদন জমা দিয়েছিল তাদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র জারি করা হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও হরিয়ানা ও উত্তরাখণ্ডেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধিমালা ২০২৪-এর অধীনে আবেদনকারীদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ।
এর আগে, গত ১৫ মে,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব দিল্লি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির দ্বারা জারি করা নাগরিকত্বের শংসাপত্রের প্রথম সেট বিতরণ করে সিএএ বাস্তবায়নের কথা বলেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, নাগরিকত্বের আবেদনগুলি সম্পূর্ণভাবে একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রণীত এই নিয়মের অধীনে, ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত এপ্রিলে বলেছিলেন, ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড অগ্রহণযোগ্য। আমি সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি চাই। তিনি বলেছেন যে তিনি সকলের নিরাপত্তা চান। ঈদ উপলক্ষে সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন যে ইউসিসি, এনআরসি এবং সিএএ কার্যকর হতে দেওয়া হবে না । আসলে সিএএ-এর আওতায় ধর্মীয় কারনে নির্যাতনের শিকার হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া হিন্দু,শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু এর বাইরেও কয়েক কোটি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকে পড়েছে । পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওই সমস্ত মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিয়ে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির । বিজেপির অভিযোগ যে এরপর এনআরসি লাগু হলে ওই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের ভোটাধিকার চলে গেলে ভোটব্যাংকের উপর প্রভাব পরার আশঙ্কাতেই রাজ্যের শাসকদল সিএএ নিয়ে বিরোধিতা করছে ।।