প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ জুন : সুনীল মণ্ডল ফের তৃণমূলে ফিরবেন এমন জল্পনা তৈরি হতেই ক্ষোভ বিক্ষোভ উত্তরোত্তর বাড়ছে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা এলাকায় । সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ’গদ্দার’ ও ’মিরজাফর’ আখ্যা দেওয়া পোস্টার হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হলেন
জামালপুর বিধানসভার আবুজহাটির তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা । দলনেত্রী যাতে আর সুনীল মণ্ডলকে তৃণমূলে না ফেরিয়ে তার সাংসদ পদ খারিজ করার ব্যবস্থা করেন এই দাবি তুলেই এদিন সরব হন তৃণমূল কর্মীরা ।
সুনীল মণ্ডলকে ’বেহায়া- গদ্দার’ আখ্যা দিয়ে বুধবার পোস্টার পড়েছিল জামালপুর বিধানসভার জৌগ্রাম এলাকায় ।আর এদিন জামালপুরের আবুজহাটি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান জবা কিস্কু ও উপ-প্রধান সমর পালের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন ।উপ-প্রধান সমর পাল বলেন ,’ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল ।দলনেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় গত লোকসভা নির্বাচনে তাকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছিলেন।দলনেত্রীর কথা মতো আবুজহাটি সহ জামালপুর বিধানসভার প্রতিটি তৃণমূল নেতা কর্মী সুনীল মণ্ডলকে জেতানোর জন্যে দিন রাত এককরে খেটেছেন ।তার পরেও সুনীল মণ্ডল দলের সাথে গদ্দারি করেন ।বিধানসভা ভোটের দু’ মাস আগে সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেন ।তার পর তিনি প্রতিটি জনসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে গিয়েছেন ।তাই সুনীল মণ্ডলকে তারা আর কোন ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসে চান না’।
পঞ্চায়েত প্রধান জবা কিস্কু বলেন ,“বিজেপির ভরাডুবির পর ’গদ্দার- মিরজাফর ’ সুনীল মণ্ডল এখন আবার ভোল বদলে তৃণমূলে ফেরার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন।এমন ’গদ্দার-মিরজাফর’ কে যাতে আর কোন দিন তৃণমূলে ফেরানো না হয় সেই দাবি তুলে ধরতেই এদিন তারা পথে নেমে স্বোচ্চার হয়েছিলেন ।’
তৃণমূলের বিক্ষোভের বিষয় নিয়ে সুনীল মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে জামালপুর বিধানসভায় বিজেপির আহ্বায়ক জীতেন ডকাল বলেন , “সুনীল মণ্ডল হলেন ’ক্ষমতার মধু’ খাওয়া রাজনীতিক । বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসছে এমন হাওয়া উঠতেই বিধানসভা ভোটের আগে ’ক্ষমতার মধু ভক্ষনের বাসনা নিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন । কিন্তু বিজেপি জিততে না পারায় এখন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভান্ডারে থাকা মধু খাওয়ার জন্যে সুনীল মণ্ডল ব্যাাকুল হয়ে উঠেছেন ।’ ‘এটাই সুনীল মণ্ডলের ক্যারেক্টার’ বলে জীতেন ডকাল মন্তব্য করেছেন ।।