এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৮ মে : গত ১২ মে রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চেঁচুরি গ্রামে খুন হন মিন্টু শেখ নামে এক তৃণমূল নেতা । ঘটনার দিন তিনি মিশির শেখ নামে এক সঙ্গীকে মোটরসাইকেলের পিছনে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন । সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে বিস্ফোরণ ঘটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিন্টুর । তার সঙ্গী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ওই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আজ শনিবার সকালে চেঁচুরি গ্রামের রসুন্ডিপুকুরের পাড়ে মাটি চাপা অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের জারের মধ্যে ৬ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ । কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি বোমা উদ্ধারের কথা স্বীকার করে জানান, গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে চেঁচুরি গ্রামে একটি পুকুরপাড়ে মাটি চাপা অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের জার ভর্তি ৬ টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে । আর কোথাও বোমা মজুত আছে কিনা জানতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে ।
জানা গেছে,আজ সকালে কেতুগ্রাম থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে চেঁচুরি গ্রামের রসুন্ডিপুকুর ঘিরে ফেলে । পরে ডিআইবি বোম্ব স্কোয়াড আসার পর পুলিশ কুকুর এবং আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান । তল্লাশির সময় পুকুর পাড়ের একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্লাস্টিকের জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয় । বোমা উদ্ধারের পরেও গ্রামে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ও ডিআইবি বোম্ব স্কোয়াডের যৌথ দল । তবে আর কোনো বোমা উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি ।
প্রসঙ্গত,চেঁচুরি গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু শেখ খুন হওয়ার পর মৃতের স্ত্রী তুহিনা খাতুন অভিযোগ তোলেন যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তার স্বামীকে খুন করানো হয়েছে । তিনি এনিয়ে তৃণমূলের ১০ জন নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেতুগ্রাম থানার একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ দুজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় । সেই খুনের ঘটনার ৬ দিনের মাথায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় ।।