দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৭ মে : বধূকে পুড়িয়ে হত্যা করার মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া আদালত । সাজাপ্রাপ্তদের নাম ক্ষুদিরাম দাস ও মালতি দাস । ওই দু’জনের মধ্যে ক্ষুদিরাম মৃত বধূ সবিতা দাসের স্বামী এবং দ্বিতীয় জন মৃতার শাশুড়ি । আজ শুক্রবার কাটোয়া অতিরিক্ত দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনের সাজা ঘোষণা করেন । ওই দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন বছরের কারাদণ্ড এবং বধূ নির্যাতনের ধারা অনুযায়ী দুজনকে আরও তিন বছরের জেল এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত একবছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অবশ্য অভিযুক্তদের মধ্যে নিহত বধূর দুই ননদ ও দুই নন্দাইকে এদিন বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে ।
কাটোয়ার রোণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা চাঁদু দাসের মেয়ে সবিতা দাস । কাটোয়ার গোপখাঁজি গ্রামের বাসিন্দা ক্ষুদিরাম দাসের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল।সবিতার । ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ১০ মার্চ । শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর । এই ঘটনায় মৃতার বাবা বধূর স্বামী,ক্ষুদিরাম, শাশুড়ি মালতি, শ্বশুর শংকর,দুই ননদ ও দুই নন্দাইসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন,খুনসহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠায় পুলিশ । যদিও ক্ষুদিরাম ছাড়া বাকিরা পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। তখন থেকেই জেল হেফাজতে ছিল ক্ষুদিরাম ।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ৮ জুন পুলিশ আদালতে চার্জশীট জমা দেয় । মামলায় স্বাক্ষী ছিল মোট ১৪ জন । অভিযুক্তদের মধ্যে মৃতার শ্বশুর শংকর দাস গতবছর রোগে মারা যান । বৃহস্পতিবার মৃতার স্বামী ও শাশুড়িকে দোষী সব্যস্ত করে আদালত । আজ সাজা ঘোষণা করা হয় ।।