এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৬ জুন : কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে ফুঁসছে বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদী । এদিকে জলের তলায় চলে গেছে মীনাপুর থেকে বাঁকুড়া শহর যাতায়তের একমাত্র ভরসা ‘ভাসাপোল’ । তার জেরে বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে একাধিক গ্রামের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রিসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য বাঁকুড়া শহরে যেতে না পারার কারনে চরম বিপাকে পড়ে গেছেন গ্রামবাসীরা । শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের আশঙ্কা এভাবে বৃষ্টিপাত চললে গ্রামের ভিতরেও নদীর জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যাবে । এনিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ ।
বাঁকুড়া জেলার মিনাপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর নদী । নদীর অন্য প্রান্তে বাঁকুড়া শহর । মীনাপুর থেকে বাঁকুড়া শহরে যাতায়তের জন্য দ্বারকেশ্বর নদীর উপর একটি ভাসাপোল রয়েছে । মীনাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের শহর যাতায়তের একমাত্র ভরসা ওই ভাসাপোলটি । এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বর্ষার বৃষ্টিপাত চলছে । তার জেরে দ্বারকেশ্বর নদীর জলের চাপ প্রচুর বেড়ে গেছে । নদীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত কানায় কানায় পরিপূর্ণ ।ফলে জলের তলায় চলে গেছে ওই ভাসাপোলটি । সেই কারনে ভাসাপোলের উপর নির্ভরশীল গ্রামগুলির সঙ্গে বাঁকুড়া শহরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দ্বারকেশ্বর নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলি মূলত কৃষিপ্রধান । উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে প্রায় বাঁকুড়া শহরে যেতে হয় চাষীদের । এছাড়া শহরে বিভিন্ন অফিস কাছারি ও ব্যাঙ্ক রয়েছে । বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটার জন্যও প্রতিদিনই গ্রামবাসীদের শহরে ছুটতে হয় । মীনাপুরসহ প্রায় ৩-৪ টি গ্রামবাসীদের রুজিরুটি নির্ভর করছে মূলত বাঁকুড়া শহরের উপরেই । এদিকে ভাসাপোলটি জলের তলায় চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে গেছেন গ্রামবাসীরা । পাশাপাশি তাঁরা নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ।
স্থানীয় গ্রামিবাসী সমিত দাস, সৌরভ গুহরা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে । যার কারণে দ্বারকেশ্বর নদী কানায় কানায় পূর্ণ । এরপর আরও বৃষ্টিপাত হলে বাড়িতে জল ঢুকে যাবে । ফলে আমরা এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি ।’। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, ‘প্রতি বছর একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । তাই ভাসাপোলটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল । কিন্তু বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও কাজের কাজ হয়নি ।’ এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা ।।