এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,১৫ মে : লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলার দুটো আসনে রেকর্ড ভোট পরেছে ৷ বর্ধমান -দুর্গাপুর আসনে ৮১.৭৪ শতাংশ এবং বর্ধমান পূর্ব আসনে ভোট পড়েছে ৮২.৪৮ শতাংশ । বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনটি ২০১৯ সালে বিজেপির দখলে থাকলেও বর্ধমান পূর্ব ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে । এখন এই বিপুল সংখ্যক ভোট পরায় এই দুই আসনেই জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির । সেই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গলায় । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থী ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে ‘এবারে তৃণমূলকে ভগবানও বাঁচাতে পারবে না,পার্টি অফিসে দরজা খোলার লোক থাকবে না ।’
সন্দেশখালীর ঘটনা প্রসঙ্গে প্রথমে দিলীপবাবু বলেন,’সন্দেশ খালির মহিলারা যা আন্দোলন করছেন বা বক্তব্য রাখছেন তা রাজ্যের মানুষ শুনছেন । চালাকি করে পয়সা দিয়ে দুটো ভিডিও বানিয়ে লোককে বোকা বানানো যাবে না । মানুষ চালাকি তখনই করে যখন হেরে যায় । টিএমসির পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়ে আসছে । আমার মতে ২০১১ সালে এমন ভোটিং হয়নি যেমন এখন হচ্ছে । ওরা বুঝতে পেরে গেছে ।’
দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা ব্যানার্জির মুখের ভাষা শুনুন না, কিনা বলছেন! আমি বলেছিলাম না ইভিএম কে ধরবে, এখন ইভিএম এর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে । এবারে ওদেরকে ভগবানও বাঁচাতে পারবে না ।’
সোমবার চতুর্থ দফার ভোটের দিনই বনগাঁয় প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি লোকসভা ভোটের ফলাফলের ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছিলেন, ‘৪০০ আসন তো দূর, ২০০ আসনও পেরোবে না বিজেপি। দেশে বিজেপি বড়জোর ১৯৫ আসন পেতে পারে। তার বেশি নয়। ইন্ডি জোট ৩০০-৩১৫ আসন পাবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ভবিষ্যৎবাণীর পরিপ্রেক্ষিতে আই দিলীপ ঘোষ বলেন,’দিদিমণি যে ভাষণটা দিয়েছেন যে ৩০০ না কত সিট পাবে, কিন্তু আপনার ভাই শাহজাহানের টাকা যত বাড়ছে আপনার তত সিট কমছে । শাহজাহানের ৩১৫-৩২০ কোটি টাকা হয়ে যেতে পারে কিন্তু টিএমসি বা ইন্ডি জোটের এবারে ১৫০ পার হওয়ার কোনো কোন চান্স নাই । এসব বোকা বানাবার চেষ্টা । আগেরবারও করেছিলেন হেরেছেন, এবারে আরো এক ডজন সিট কম হলে টিএমসির শুয়ে পড়বে, পার্টি বলে কিছু থাকবে না । পার্টি অফিসে দরজা খোলার লোক থাকবে না ।’
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ওরা ভেবেছিল যে বর্ধমানের আসন এমনি জিতে নেবে । গুন্ডাদের দিয়ে জিতে নেবে । কিন্তু আমি বাধা দিয়েছি । যেখানে যেখানে গুন্ডারা বদমাইশি করতে এসেছে সেখানে আমি দাঁড়িয়ে । আমি যদি চুপচাপ চলে আসতাম কিছুই হত না। কিন্তু লোকে বেরিয়ে ভোট দিত না । বর্ধমানের ইতিহাসে এত শান্তিপূর্ণ ভোট কখনও হয়নি ।’ পাশাপাশি তিনি জানান যে কার্যকর্তারাও ঢাল হয়ে জায়গায় জায়গায় ছাপ্পা ভোট রুখে দিয়েছেন। মানুষ তাই নির্ভাবনায় ভোট দিতে বেরিয়েছেন।।