সুজয় কর,কলকাতা,১২ মে : কাব্যপ্রেমী রোমান্টিক বাঙালি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, সুকান্তের অমর কাব্যের কথা ভেবে নস্টালজিক হয়ে ওঠে। নিজেদের আচরণের মধ্যে দিয়ে তার বহিঃপ্রকাশও ঘটে। সুযোগ পেলেই এঁদের জন্ম জয়ন্তী পালনের মাধ্যমে তাঁদের সৃষ্ট কাব্য নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠে। যেমন মেতে উঠল ‘কবি বাচিক সাহিত্য পরিবার’। তাদের সৌজন্যে গত তিন বছর ধরে কাব্যপ্রেমী বাঙালি কাব্যচর্চার একটা সুযোগ পেয়ে আসছে।রবীন্দ্র-নজরুলের কাব্য সাগরে মণি মুক্তর সন্ধানে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উদ্যোগে শনিবার সল্টলেকের ‘রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন’-এ পালিত হয় তৃতীয় বর্ষের ‘রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী’।
গত তিন বছর ধরে যেসব কবি, বাচিক শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, নৃত্য শিল্পীদের সৌজন্যে সংস্থাটি সংস্থাটি কাব্যচর্চা ও বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে বিশেষ পরিচিত লাভ করেছে তাদের উপস্থিতিতে এক মনোরম ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাচিক শিল্পীরা দুই কবির লেখা কবিতা পাঠের পাশাপাশি স্বরচিত কবিতাও পাঠ করেন। তাদের বক্তব্য দুই কবির প্রতিকৃতির সামনে কবিতা পাঠ করার সময় এক অদ্ভুত আবেগ মনের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। সঙ্গীত শিল্পীরা যেমন তাদের লেখা সঙ্গীত পরিবেশন করেন তেমনি নৃত্য শিল্পীরা তাদের লেখা সঙ্গীতকে উপজীব্য করে নৃত্য প্রদর্শন করেন। বাড়তি পাওনা ছিল কাব্য জগতের এই দুই মহীরূঢ় সম্পর্কে প্রবীণদের মননশীল আলোচনা। সব মিলিয়ে এক মনোরম দিনের সাক্ষী থাকার সুযোগ পান মহানগরবাসীরা।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উক্ত পরিবারের সদস্যা বাচিক শিল্পী মৌসুমী ঘোষ, রাখি রায়, টুম্পা মান্না ও মৌসুমী মজুমদার। তাদের সঞ্চালনার গুণে অনুষ্ঠানটি বর্ণময় হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের সূচনার মধ্যেও ছিল অভিনবত্ব। বর্তমান বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুশান্ত ঘোষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পরিবর্তে চারা গাছে জল প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন। তার সঙ্গে হাত মেলান অতিথিরা।উপস্থিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মাননা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুশান্ত ঘোষ প্রত্যককে সাহিত্যের প্রতি একাগ্র হওয়ার বার্তা দেন। তিনি বলেন – একমাত্র তারাই পারেন বাংলা কাব্যজগতের অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে।।