চিঠি লেখাটা হারিয়েই গেল। কেউ আর কাউকে চিঠি লেখে না। ফোন আছে তো! কিন্তু ফোনও তো করেনা।
কত চিঠি ছিল ছেলেবেলা জুড়ে! তখন বাবা বাঞ্চ করে পোস্টকার্ড নিয়ে আসতো। প্রথম চিঠি পাঠাই টুপুমাসিকে , কেমন আছিস? সেই সব চিঠিতে লেখা হতো কৈশোর–মনের, প্রাণের কত সুখ দুঃখের কথা।শেষে স্পষ্ট করে ঠিকানা লেখা এবং ডাকবাক্সে ফেলে দেওয়া সেই শৈশব স্মৃতিকে ।
তখন একটা অন্যরকম নেশা ছিল চিঠি লেখা ও পাঠানোতে । দুপুরবেলায় পিওন কাকুর সাইকেলের ঘন্টি শোনার অপেক্ষার একটা আলাদা নেশা ছিল।
এখন আর চিঠি নেই। মনের কথা সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা নেই। মনের কথাই আর আছে কিনা তাই বা কে জানে! আছে। ছোট হয়ে গেছে। কনসাইজড্। লাইন শব্দে এসে ঠেকেছে। শব্দ ইমোজিতে। পোস্টম্যান এখনও পাড়ায় আসে। এখনও দুপুরের একটা মনখারাপ থাকে। কিন্তু মন ভাল করা চিঠি আসার ঘন্টি আর কোথাও বাজে না।।